৩ হাজার ৬৫৯ টন সরিষা আমদানি

স্টাফ রিপোর্টার

দেশের বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সরিষার আমদানি বেড়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে বন্দর দিয়ে ৩৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা মূল্যের ৩ হাজার ৬৫৯ টন সরিষা আমদানি হয়েছে। চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী থাকলে আমদানি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলি কাস্টমস কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতি টন সরিষা আমদানি করা হচ্ছে ৮০০-৯২০ ডলার মূল্যে। কাস্টমসে প্রতি টন সরিষা শুল্কায়ন করা হচ্ছে ১ হাজার ডলার মূল্যে। বন্দর দিয়ে গত ডিসেম্বর মাসে ৩৫টি ট্রাকে ১ হাজার ১৬৮ টন সরিষা আমদানি হয়েছিল। জানুয়ারি মাসে ৪৫টি ট্রাকে ১ হাজার ৫৯৩ টন সরিষা আমদানি হয়েছে। গত অর্থবছরে জুলাই-জানুয়ারি সময়ে বন্দর দিয়ে কোনো সরিষা আমদানি হয়নি।

হিলি স্থলবন্দরের সরিষা আমদানিকারক হারুন উর রশীদ বলেন, ‘‌বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আমরা ভারত থেকে সরিষা আমদানি করছি। বন্দর দিয়ে সরিষার আমদানি বাড়ছে। আশা করছি আমদানি অব্যাহত থাকবে।’

শাহিনুর রেজা নামের আরেক আমদানিকারক বলেন, ‘‌দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের যে চাহিদা রয়েছে তার সিংহভাগই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করতে হয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় আমদানি বাড়লেও ডলার সংকটের কারণে আমদানিতে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তি। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটসহ নানা কারণে আগামীতে দাম আরো বাড়তে পারে। এর প্রভাব পড়বে দেশের বাজারেও। এছাড়া আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের চাহিদা বাড়ছে। চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যেই সরিষা আমদানি করা হচ্ছে।’

হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শেরেগুল ইসলাম বলেন, ‘‌আগে ইউক্রেন, রাশিয়া, কানাডা, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সরিষা আমদানি হতো। কিন্তু বর্তমানে ডলার সংকট ও জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাওয়ার কারণে ওইসব দেশ থেকে সেভাবে সরিষা আমদানি করতে পারছেন না আমদানিকারকরা। সময় কম লাগায় ও তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আমদানিকারকরা চাহিদামাফিক সরিষা আমদানি করছেন।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘‌বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্য আমদানির পাশাপাশি বেশ কিছুদিন নতুন করে সরিষা আমদানি হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন ১-২ ট্রাক করে সরিষা আমদানি হচ্ছে। ফলে বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বেড়েছে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয়ও বেড়েছে। কাস্টমসের পরিবীক্ষণ ও শুল্কায়ন শেষে দ্রুত যেন আমদানিকারকরা পণ্যটি খালাস করে নিতে পারেন, সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহায়তা করছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *