মাখন রফতানিতে রেকর্ডের পথে বেলারুশ

পূর্ব ইউরোপের ছোট্ট দেশ বেলারুশ। তরল দুধ ও দুগ্ধপণ্য উৎপাদনের জন্য দেশটি বিশেষভাবে পরিচিত। এখানকার মাখনের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বজোড়া। চলতি বছর শেষে বেলারুশ থেকে মাখন রফতানি আগের বছরের তুলনায় ৪ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে।

মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। মূলত উৎপাদনে চাঙ্গাভাব বজায় থাকা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাড়তি চাহিদার জের ধরে এ সময় বেলারুশের মাখন রফতানিতে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর এগ্রিমানি ও রয়টার্স।

মাখন উৎপাদনকারীদের তালিকায় বেলারুশের অবস্থান বিশ্বে অষ্টম। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর প্রতি বছর দেশটি থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মাখন রফতানি হয়। বেলারুশ বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ মাখন রফতানিকারক দেশ।

ইউএসডিএর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মাখন রফতানি হয়েছিল। এ সময় দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৭৭ হাজার টন মাখন রফতানি হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৭ সালে দেশটি থেকে দুগ্ধপণ্যটির রফতানি ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৭২ হাজার টনে।

চলতি বছর শেষে বেলারুশ থেকে সব মিলিয়ে ৭৫ হাজার টন মাখন রফতানির পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ এক বছরে দেশটি থেকে দুগ্ধপণ্যটির রফতানি বাড়তে পারে তিন হাজার টন। চলতি বছর দেশটিতে সব মিলিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার টন মাখন উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *