ছয় কোটি টন শস্য রফতানির সম্ভাবনা দেখছে রাশিয়া
২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে সাড়ে পাঁচ কোটি থেকে ছয় কোটি টন খাদ্যশস্য রফতানির সম্ভাবনা দেখছে রাশিয়া। দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। এবার রফতানি কোটা কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্টরা। বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তবে সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, রাশিয়াকে খাদ্যপণ্যের স্থিতিশীল মজুদ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য যদি রফতানি কিছুটা কমাতে হয়, তা-ই করা হবে। তবে তিনি এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।
রাশিয়ায় গত বছর রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা রোস্ট্যাট এ তথ্য জানিয়েছে। এ কারণেই রফতানি নিয়ে আশাবাদী দেশটির খাতসংশ্লিষ্টরা। ঊর্ধ্বমুখী আবাদ ও ফলনের কারণে উৎপাদন ভালো হয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক দামের কারণে দেশটির খাদ্যশস্যের চাহিদাও বেশি।
সংস্থাটির সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে রাশিয়া সব মিলিয়ে ১৫ কোটি ৩৮ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করেছে। ২০২১ সালের তুলনায় উৎপাদন ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের শেষ দিকে রোস্ট্যাট ১৫ কোটি টন উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছিল। এ পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে গেছে উৎপাদন। খাদ্যশস্যের মধ্যে শুধু গম উৎপাদনের পরিমাণই দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৪৪ লাখ টনে। গত বছরের আগে রাশিয়া ২০১৭ সালে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদন করেছিল। উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টন।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কৃষ্ণসাগরীয় খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না বলে অভিযোগ রাশিয়ার। রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো বলেন, ‘জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরগুলোয় বন্ধ হয়ে পড়া শস্য রফতানি পুনরায় চালু করাই ছিল চুক্তির প্রধান লক্ষ্য।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কৃষ্ণসাগরীয় খাদ্যশস্য চুক্তির আওতায় রাশিয়ার রফতানির ওপর থেকে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিষয়টি নিশ্চিত করতে এখনো কোনো সন্তোষজনক কাজ করা হয়নি। ইইউ প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বছর বলেছিলেন, ইউক্রেনিয়ান খাদ্যশস্য চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়া ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।