রমজানে টিসিবির জন্য ভোজ্যতেল ও ডাল কিনছে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার

রমজানে নিত্যপণ্যের সংকট মোকাবেলায় এবং ভোক্তা সাধারণের কাছে সাশ্রয়ী দামে ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল বিক্রির জন্য এ দুটি পণ্য কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ৮০ লাখ কেজি মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আসন্ন রোজায় সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে এসব পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করা হবে। গতকাল কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রি­সভা কমিটির সভায় এ ক্রয়প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে  বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, রমজানে টিসিবির জন্য ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল কেনা হচ্ছে। নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বৈঠকে টিসিবির জন্য সয়াবিন তেল ও ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এসব পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় এক কোটি পরিবারের কাছে বিক্রি করা হবে।’ এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, রমজানে নিত্যপণ্যের সংকট হবে না।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খানও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘১৯৪ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকায় মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারির কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম পড়বে ১৭৬ টাকা ৮৮ পয়সা। এর আগে প্রতি লিটার ১৭৭ টাকা দরে সয়াবিন কেনা হয়েছিল।’

তিনি জানান, প্রতি কেজি ৯১ টাকা ৬০ পয়সা দরে ৭৩ কোটি ২৮ লাখ টাকায় আট হাজার টন মসুর ডাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তুরস্কের আরবিল বাকলিয়াত হুবুবাত সান্তিক থেকে এ ডাল কেনা হবে। এ কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট বিআইএনকিউ বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

এদিকে ফল আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলা যাচ্ছে না বলে ফলের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যদিও রোজায় ফলের চাহিদা বেশি থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌আমাদের এখন দেখতে হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রায় যেন অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। সেজন্য আমদানি কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। সময় ভালো হলেই এলসি খুলে দেয়া হবে।’

সভায় ‘বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ শীর্ষক প্রকল্পের অপারেশন সাপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধিজনিত বাড়তি ব্যায়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি বলে জানান সাঈদ মাহবুব খান। এতে ব্যয় হবে ৮৮ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৭৪ টাকা।

এছাড়া জিওবির অর্থায়ন এবং এক্সিম ব্যাংক ভারতের ঋণ সহায়তায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘বারইয়ারহাট-হেয়াঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্পের পূর্ত কাজের প্যাকেজ নং: পিডব্লিউ-১-২-এর ক্রয়প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৬৮৩ কোটি ৭১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৬৪ টাকা। এসব প্রস্তাবসহ মোট ১৫ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রি­সভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৮৯ কোটি ৩৮ লাখ ৮১ হাজার ১৬৩ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *