সর্বনিম্নে অ্যারাবিকা কফির দাম
আইসিই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে অ্যারাবিকা কফির দাম কমে সাড়ে তিন সপ্তাহের সর্বনিম্নে নেমেছে। শীর্ষ উৎপাদক দেশ ব্রাজিলে অনুকূল আবহাওয়া এক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। পাশাপাশি কমেছে চিনি ও কোকোর দামও। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
সর্বশেষ কার্যদিবসে অ্যারাবিকা কফির মার্চে সরবরাহ চুক্তির দাম দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। প্রতি পাউন্ডের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ ডলার ৫৯ সেন্টে। এছাড়া মে মাসে সরবরাহ চুক্তিতে রোবাস্তা কফির দাম দশমিক ৩ শতাংশ কমে টনপ্রতি ১ হাজার ৮২৬ ডলারে নেমেছে।
বাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফেচ সলিউশন এক নোটে জানায়, ব্রাজিলে শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাব কমতে শুরু করেছে। ফলে কৃষিপণ্য উৎপাদন নিয়ে বিদ্যমান উদ্বেগও কিছুটা লাঘব হয়েছে। পাশাপাশি আইসিইর সর্বশেষ তথ্যমতে, অ্যারাবিকা কফির বৈশ্বিক মজুদ আবারো বেড়েছে। এ দুটি বিষয়ই দাম কমাতে সহায়তা করেছে।
ডিলাররা বলছেন, আইসিইর তালিকাভুক্ত মজুদাগারগুলোয় ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কফির মজুদ ৮ লাখ ২০ হাজার ৫৪০ ব্যাগে (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) উন্নীত হয়েছে, যা ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া সাদা চিনির মার্চে সরবরাহ চুক্তির দাম দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে টনপ্রতি ৫৩২ ডলার ৩০ সেন্টে নেমেছে।
অন্যদিকে মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে অপরিশোধিত চিনির দাম দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। প্রতি পাউন্ডের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ২৯ সেন্টে।