ডিসেম্বরে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার

২০২২ সালের নভেম্বরে ৫০৯ কোটি ২৫ লাখ ডলারের বা পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ডলার অর্থাৎ ৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা দেশের ইতিহাসে একমাসে রপ্তানি আয়ের হিসাবে সর্বোচ্চ। আর ২০২১ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দুই হাজার ৭৩১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে রপ্তানিকারকরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।

সোমবার (২ জানুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ডিসেম্বর মাসের রপ্তানি আয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে ডিসেম্বরে রেকর্ড রপ্তানি আয়ের তথ্য জানানো হয়।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে দুই হাজার ২৯৯ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ এসেছে এ খাত থেকে। এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। নিট পোশাকে ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং ওভেন পোশাকে ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

তৈরি পোশাক ছাড়া অন্য বড় খাতগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ খাত থেকে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ৬৩ কোটি ৭৩ লাখ ডলার আয় হয়েছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ শতাংশ।

পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৪৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা প্রায় ১৮ শতাংশ কম।

হোম টেক্সটাইল থেকে আয় কমেছে ১৬ শতাংশ, কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ, হিমায়িত মাছ ও ওষুধ রপ্তানি থেকে যথাক্রমে ২৭ শতাংশ ও ২২ দশমিক ৪৪ শতাংশ আয় কম হয়েছে।

এছাড়া স্পেশালাইজড টেক্সটাইল রপ্তানি থেকে ৩৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, বাইসাইকেল রপ্তানি থেকে আয় কমেছে ৬ শতাংশ। হ্যান্ডিক্যাফট থেকে কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি।

এদিকে, টানা দুইমাস ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি আয় হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তৈরি বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সমিতি (বিজেএমইএ)।

সংগঠনের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘যদি আমরা ক্যালেন্ডার বছরের তথ্য বিবেচনা করি, তাহলে ২০২২ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে একটি নতুন মাইলফলক রচিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএর বিশ্লেষণ অনুযায়ী- ২০২১ সালের তুলনায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২২ সালে ২৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। পোশাকশিল্পের এ সাফল্যে সব উদ্যোক্তা, বিজিএমইএর সব সহকর্মী এবং এ শিল্পের সব শ্রমিকদের অভিনন্দন জানাই। একইসঙ্গে এ শিল্পের সব সংকটে সার্বিক সহায়তার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

এদিকে, চলতি অর্থবছরে পাঁচ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *