গাজীপুরে তুলার গুদামের আগুন ৫ ঘণ্টায়ও নিভেনি

স্টাফ রিপোর্টার

গাজীপুরের শ্রীপুরের কেওয়া নতুন বাজার এলাকার তুলার গুদামে লাগা আগুন এখনো নিভেনি। তবে আগুন আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর, ২০২২) বেলা সাড়ে ১১টায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। বিকেল সাড়ে ৪টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুনের ঘটনায় শ্রীপুর-মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, শ্রীপুরের কেওয়া নতুন বাজার এলাকায় এস.বি.এস টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের একটি কারখানার তুলার গুদামে বেলা সাড়ে ১১টায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি, জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি, কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ও ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটসহ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে।

তিনি আরও জানান, গুদামে অনেক তুলা মজুত ছিল। কিন্তু কি পরিমাণ তুলা মজুত ছিল তা নিশ্চিত নয়। এটা অনেক বড় একটা তুলার গুদাম। গুদামে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ায় আমাদের অনেক সময় লাগছে। আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেই ব্যবস্থা করেছি। যে স্টোর নীতি আছে সে স্টোর নীতি থাকা দরকার সে ধরনের নীতি এখানে মানা হয়নি। একটা থেকে আরেকটা যে দূরত্ব থাকার কথা সেটা এখানে নাই।

পানির সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যে সরঞ্জামাদি আছে সেভাবে আমরা কারখানায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাইনি। তাদের হাইড্রেন্ড ব্যবস্থাপনার পানিতে খুব বেগ পাইনি। আমরা আশপাশের কারখানা থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি পাশের একটি পুকুর থেকেও পানি আনা হচ্ছে। এঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হবে।

আগুন বিষয়ে কারখানায় মানব সম্পদ কর্মকর্তা মো. আজমল হোসেন বলেন, আমাদের এখানে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা আছে ও হাইন্ড্রেড ব্যবস্থা আছে। আগুন লাগার পরপরই হাইন্ড্রেড ব্যবস্থাপনার লাইন গুলো পুড়ে যায়। তবে কোথা থেকে আগুন লেগেছে তা জানাতে পারিনি।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল আলম প্রধান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *