পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫-৬ টাকা
দুদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫-৬ টাকা। চাহিদার তুলনায় আমদানি বাড়ায় বাজার নিম্নমুখী হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুদিন আগে বন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩১-৩২ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২৫-২৬ টাকায় নেমেছে। মান খারাপ হওয়ায় কিছু পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২০-২২ টাকা দরেও বিক্রি হয়েছে। পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কিছুদিন দেশীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় মোকামে আমদানীকৃত পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছিল। কিন্তু আমদানির তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। যে পেঁয়াজের দাম ২১ টাকায় নেমে এসেছিল, তা বাড়তে বাড়তে গত সপ্তাহে ৩২ টাকায় উঠে আসে। বাড়তি দামের কারণে ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছিলাম। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই দাম আবারো কমতে শুরু করেছে। দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫-৬ টাকা করে কমেছে। ৩১-৩২ টাকার পেঁয়াজ ২৫-২৬ টাকায় নেমেছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে আমদানি অব্যাহত রেখেছিলেন বন্দরের আমদানিকারকরা। কিন্তু হঠাৎ বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় দেশের বাজারে আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদাও বেড়ে যায়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় গত সপ্তাহে দাম বাড়তে শুরু করে। ভারতীয় পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদাকে ঘিরে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। সেই সঙ্গে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এ কারণেই গতকাল দাম কমেছে। এছাড়া মৌসুমের শেষের দিকের পেঁয়াজ হওয়ায় আমদানীকৃত পেঁয়াজের মান কিছুটা খারাপ। বিষয়টিও দাম কমাতে সহায়তা করছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত। তবে আমদানির পরিমাণ খানিকটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে বন্দর দিয়ে ৮-১০ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন ২৩টি ট্রাকে ৬৪৩ টন আমদানি হয়েছে। গতকালও বন্দরে আমদানি অব্যাহত ছিল।