দ্বিতীয় দিনেও চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ
নৌ শ্রমিকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরে বহির্নোঙরে পণ্য খালাসে তৈরি হয়েছে স্থবিরতা। সোমবার (২৮ নভেম্বর) বহির্নোঙরে কয়েকটি জাহাজ পণ্য খালাসের জন্য প্রস্তুতি নিলেও শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে তা বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, রোববার বন্দরের বহির্নোঙরে বিভিন্ন পণ্যবাহী ২২টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস চলছিল। সেগুলোর সঙ্গে সোমবার কয়েকটি জাহাজ পণ্য খালাসের জন্য প্রস্তুতি নিলেও শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে তা বন্ধ রয়েছে।
এর আগে রোববার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরসহ সারাদেশে কাজে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকেন নৌযান শ্রমিকরা। তারা সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো- দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ, কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিংপাস দেওয়া, রাতে বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা, বাংলাদেশের বন্দরসমূহ থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করা, চট্টগ্রাম বন্দরে চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল এবং চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে বন্দরের ভেতরে অপারেশনাল কার্যক্রম, কন্টেইনার লোড-আনলোড, বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বহির্নোঙর এবং কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন ঘাটে লাইটারেজ জাহাজে পণ্য উঠানামা বন্ধ রয়েছে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নবী আলম বলেন, ১০ দফা দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। দাবি নিয়ে আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু মালিক ও মন্ত্রণালয় কোনো পক্ষই বৈঠকে আসছে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবো।