রুসো ১০৯, বাংলাদেশ ১০১

স্টাফ রিপোর্টার

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে হারলো।

রাইলি রুসোর ব্যাটিং ঝড়ে বাংলাদেশ রান পাহাড়ে চাপা পড়েছিল। তার ১০৯ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ২০৫ রান, ৫ উইকেট হারিয়ে। বাংলাদেশ লড়াই করা তো দূরে থাক, রুসোকেই হারাতে পারলো না। ১১ ব্যাটসম্যান মিলেও বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের একার রান ছুঁতে পারেননি। ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে ১০১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। হার মানে ১০৪ রানে।

রান তাড়ায় নেমে প্রথম দুই ওভার ছাড়া বাংলাদেশ ম্যাচেই ছিল না। কোনও উইকেট না হারিয়ে ২৬ রান করেছিল তারা। তৃতীয় ওভারে আনর্খি নর্কিয়ের কাছে ব্যাটিং ধস শুরু, জোড়া আঘাতে দুই ওপেনার ফেরার পর।

প্রথম দুই ওভারে তিন উইকেট নেওয়া নর্কিয়ে নিজের শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদকে (১০) বোল্ড করে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন। মাঝে তাবরাইজ শামসি ঘূর্ণি জাদু দেখান। মাত্র ৩.৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন নর্কিয়ে। এছাড়া শামসি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন লিটন দাস। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে তার ১৯ রানের জুটি বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ। এছাড়া কেবল সৌম্য সরকার (১৫), মেহেদী হাসান মিরাজ (১১) ও তাসকিন দুই অঙ্কে পৌঁছান।

বিশ্বকাপে কোনও দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হিসেবে সেরা ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা রুসো। বল হাতেও দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলিং ফিগারে নর্কিয়ে এবং তার ক্যারিয়ার সেরাও।

হার থেকে এক উইকেট দূরে বাংলাদেশ

আনরিখ নর্কিয়ের বলে তাসকিন আহমেদ কভারে বল ঠেলে রান নেন। অল্প দূরত্ব থেকে কাগিসো রাবাদ বল ধরে সরাসরি হিটে স্টাম্প ভাঙেন। কিপার এন্ডে রান আউট হন হাসান মাহমুদ। ৮৯ রানে নেই বাংলাদেশের ৯ উইকেট।

বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে প্যাভিলিয়নে লিটন

তাবরাইজ শামসি তৃতীয় ওভারে তিন নম্বর উইকেটের দেখা পেলেন। উইকেটে থিতু হওয়া লিটন দাসকে ৩৪ রানে ফেরালেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনারের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ট্রিস্টান স্টাবস নিচু ক্যাচ ধরেন। ৩১ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছয় মারেন লিটন। ৮৫ রানে নেই বাংলাদেশের ৮ উইকেট।

৪ উইকেটে ৬৬ রান বাংলাদেশ ৭৬ রানে হারালো ৭ উইকেট। তাবরাইজ শামসির দ্বিতীয় শিকার হলেন নুরুল হাসান সোহান। স্লগ সুইপ করে ফাইন লেগে আনরিখ নর্কিয়ের কাচ হন তিনি। ৬ বলে ২ রান করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ৭৬ রানে নেই ৭ উইকেট।

খালি হাতে ফিরলেন মোসাদ্দেক

৭ বলের মধ্যে দুটি উইকেট হারালো বাংলাদেশ। দশম ওভারের চতুর্থ তাবরাইজ শামসির শিকার হন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের ওভারে চতুর্থ বলে কেশব মহারাজের বলে পিচ ছেড়ে বেরিয়ে এসে শট খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হলেন মোসাদ্দেক হোসেন। ৩ বল খেলেও রানের খাতা না খুলে বিদায় নিলেন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ছোটখাটো ঝড় তোলা এই ব্যাটসম্যান। ৭১ রানে নেই ছয় ব্যাটসম্যান।

বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও ব্যর্থ মিরাজ

তিন ওভারে ৩২ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি মেহেদী হাসান মিরাজ। একজন বাড়তি স্পিনার হিসেবে তাকে নামানো হয়। ব্যাটিং গভীরতার কথাও ভাবা হচ্ছিল। তাই ইয়াসির আলী রাব্বির বদলে একাদশে নাম লেখেন তিনি।

কিন্তু সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলেন না। হাল ধরতে পারলেন বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের সময়। ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মিরাজ। মাত্র ১৯ রান যোগ করে ছিন্ন তাদের জুটি। ১৩ বলে ১১ রান করে তাবরাইজ শামসির শিকার হন তিনি ডিপ লং অফে এইডেন মার্করামকে ক্যাচ দিয়ে। ৬৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

পঞ্চাশ না করতেই নেই বাংলাদেশের চার উইকেট

পাওয়ার প্লেতেই চার উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। ষষ্ঠ ওভারে আফিফ হোসেন মাত্র ১ রান করে ওয়েন পার্নেলকে ক্যাচ দেন। কাগিসো রাবাদা খোলেন উইকেটের খাতা। ৪৭ রানে নেই বাংলাদেশের চার উইকেট।

নর্কিয়ের তৃতীয় শিকার সাকিব

দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে আবারও সাফল্য পেলেন আনরিখ নর্কিয়ে। প্রথম ওভারে সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্তকে আউট করার পর ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সাকিব আল হাসানকে ফেরালেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার। ৪ বল খেলে মাত্র ১ রান করে লেগ বিফর উইকেটে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ৩৯ রানে নেই ৩ উইকেট।

নর্কিয়ের জোড়া আঘাতে ফিরলেন দুই ওপেনার

দলীয় ২৬ ও ২৭ রানে ফিরে গেলেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

প্রথম ওভারে সৌম্য শেষ দুই বলে কাগিসো রাবাদাকে ছক্কা মেরে রানের গতি বাড়ান। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে শান্ত চার মারেন।

২৬ রানে এই জুটি ভেঙে গেছে আনরিখ নর্কিয়ের প্রথম বলে। তৃতীয় ওভারে সৌম্য ১৫ রানে পেছনে কুইন্টন ডি ককের ক্যাচ হন। আর এক রান যোগ হওয়ার পর একই ওভারে শান্ত ৯ রানে বোল্ড হন। ক্রিজে আছেন লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান।

রুসো ঝড়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০৬ রান

প্রথম ওভারে তাসকিন আহমেদ ফেরালেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে। ৭ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর যেন ফিরে আসছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দারুণ সূচনার স্মৃতি।

কিন্তু রাইলি রুসো ও কুইন্টন ডি কক বাংলাদেশের আশার আলো নিভিয়ে দিলেন ৮৫ বল ধরে ক্রিজে থেকে। ১৬৩ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে দলকে এনে দেন বড় সংগ্রহ।

ডি কক ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে ৬৩ রানে থামেন। তার ৩৮ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ৩ ছয়।

আরেক প্রান্তে বিস্ফোরক ছিলেন রুসো। ৫৬ বলে ৭ চার ও ৮ ছয়ে ১০৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। ৫২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে সাকিব আল হাসান দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন। শেষ ওভারে দলীয় স্কোর দুইশ পার করে হাসান মাহমুদের শিকার হন এইডেন মার্করাম (১০)।

গত ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় তাসকিন আহমেদ ৩ ওভারে ১ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৪৬ রান দেন। সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পান সাকিব। এছাড়া আফিফ হোসেন ও হাসান নেন একটি করে উইকেট।

রুসো ঝড় থামালেন সাকিব

১৯তম ওভারে থামলো রাইলি রুসোর দুর্দান্ত ইনিংস। ৫৬ বলে ৭ চার ও ৮ ছয়ে ১০৯ রান করে লিটন দাসের ক্যাচ হলেন তিনি।

৮৮ রানে জীবন পাওয়া রুসোর সেঞ্চুরি

রাইলি রুসো শুরু থেকে চড়াও হন। ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আর ২২ বল খেলে শতকে পৌঁছান। ১৭তম ওভারে ৫২ বলে সাতটি করে চার ও ছয়ে টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি মারলেন তিনি। এর আগে ৪ অক্টোবর ইন্দোরে ভারতের বিপক্ষে একশর দেখা পেয়েছিলেন রুসো।

সাকিবের ওভারে রুসোর সেঞ্চুরির আগে ট্রিস্টান স্টাবস উইকেট হারান। ডিপ মিডউইকেটে লিটন দাসের ক্যাচ হন তিনি ৭ রানে।

১৬৩ রানের জুটি ভাঙলো বাংলাদেশ

১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে কুইন্টন ডি কককে মাঠছাড়া করলেন আফিফ হোসেন। লং অফে সৌম্য সরকারের ক্যাচ হন প্রোটিয়া ওপেনার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৬৩ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে মাঠ ছাড়লেন ডি কক। ৩৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৬৩ রান করেন তিনি। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর রাইলি রুসোর সঙ্গে জুটি গড়েন ডি কক।

ডি ককের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি

১৩তম ওভারে দ্বিতীয় ছক্কা মেরে ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন কুইন্টন ডি কক। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে দলকে দেড়শতে নেন তিনি। ৩৬ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত ডি কক, অন্য প্রান্তে ৪২ বলে ৮৪ রান রাইলি রুসোর।

বাংলাদেশের পাঁচ রান পেনাল্টি

সাকিব আল হাসান বল করার আগেই নিজের পজিশন বদল করেছেন উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান এবং শাস্তি পেলো বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে যোগ হলো পাঁচটি পেনাল্টি রান।

প্রথম ওভারে সাকিব দিলেন ২১ রান

প্রথম ওভারে ২১ রান দিলেন সাকিব আল হাসান। ১১তম ওভারে বল হাতে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তাকেও ছাড় দেননি রাইলি রুসো। চতুর্থ বলে লং অন দিয়ে চার মারেন রুসো। পরের দুটি বলে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ বলটি ছিল নো বল, ফ্রি হিটে রুসো ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ হলেও মাঠ ছাড়তে হয়নি। ৩৪ বলে ৬৭ রানে তিনি অপরাজিত, ২৯ বলে ৪০ রানে খেলছেন কুইন্টন ডি কক।

রুসোর ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

দশম ওভারে ৩০টি বল খেলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করলেন রাইলি রুসো। ২ রানে টেম্বা বাভুমা প্যাভিলিয়নে ফেরার পর ক্রিজে নামেন তিনি। দুটি চার ও চারটি ছয়ে পঞ্চাশ ছোঁন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৩০ বলে ৫০ রানে রুসো এবং কুইন্টন ডি কক ২৬ বলে ৩৭ রানে খেলছেন।

আরেকটি রিভিউ নষ্ট করলো বাংলাদেশ

সপ্তম ওভারে রাইলি রুসোর রিভার্স সুইপের পর তার বিরুদ্ধে কট বিহাইন্ডের আপিল করেন মোসাদ্দেক হোসেন। আল্ট্রা এজে ধরা পরে বল ব্যাটে নয়, পেছনের পায়ে লেগে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে গেছে। তাতে দুটি রিভিউই নষ্ট হলো বাংলাদেশের।

রুসোর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বিবর্ণ বাংলাদেশ

তৃতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের কাছ থেকে ২১ রান তোলার পর আরও চড়াও হন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। পরের ওভারে হাসান মাহমুদকে পরপর দুই বলে ছয় ও চার মারেন রাইলি রুসো। ওভারটি থেকে বাংলাদেশ দেয় ১১ রান।

পঞ্চম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বল থেকে দুটি ছয় আদায় করেন রুসো। প্রোটিয়ারা তোলে ১৬ রান। রুসো ১৭ বলে ৩৫ ও কুইন্টন ডি কক ১২ বলে ২১ রানে অপরাজিত।

তাসকিনের খরুচে ওভার

তৃতীয় ওভারটা বাজে গেলো তাসকিন আহমেদর। প্রথম ওভারে রাইলি রুসোর বিরুদ্ধে কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়ে তা হারায়। তারপর ওভারস্টেপে নো বল দিলেন দুইবার। ফ্রি হিটের সদ্ব্যবহার করে একটি চার ও ছয় মেরেছেন কুইন্টন ডি কক। শেষ বলেও বাউন্ডারি মারেন তিনি। এই ওভারে তিন চারের আরেকটি মারেন রুসো। প্রথম ওভারে ২ রান দেওয়া তাসকিনের এই ওভার থেকে ২১ রান তোলে প্রোটিয়ারা।

রিভিউ হারালো বাংলাদেশ

তৃতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে প্রথম ডেলিভারিতে রাইলি রুসোর বিরুদ্ধে কট বিহাইন্ডের আবেদন জানান তাসকিন আহমেদ। আম্পায়ার রড টাকার নট আউট দিলে রিভিউ নেন সাকিব আল হাসান। তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত যায়নি।

এর আগে মেহেদী হাসান মিরাজের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম চার মারে দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি কক কভার দিয়ে বাউন্ডারি মারেন। ২ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ১ উইকেটে ১০ রান করেছে।

বাভুমাকে ফেরালেন তাসকিন

প্রথম ওভারেই টেম্বা বাভুমাকে মাঠছাড়া করলেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারের শেষ বলে তাকে ২ রানে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানান। প্রথম ওভার শেষে মাত্র ২ রান দিয়ে উইকেটটি পেলেন বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার।

টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, ইয়াসিরের বদলে মিরাজ

বাংলাদেশ দল থেকে বাদ পড়েছেন ইয়াসিন আলী রাব্বি, জায়গা পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার ব্যাপারে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা বলেছেন, ‘আমরা ব্যাট করবো। মনে হচ্ছে এটাই আমাদের দলের জন্য ভালো। উইকেট কিছুটা শুষ্ক লাগছে এবং আমাদের দলে একজন বাড়তি স্পিনার আছে। কুইন্টন ভালো বল পেটাচ্ছে, এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আরও ভালো খেলার চেষ্টা করবো।’

সাকিব আল হাসানও আগে ব্যাটিং করতেন বললেন, ‘আমরাও প্রথমে ব্যাট করতাম। তবে রান তাড়া করতে সমস্যা নেই কারণ বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। আমরা একজন বাড়তি স্পিনার নিয়ে খেলবো, হোবার্টের চেয়ে এখানে আলাদা পিচ। আমরা সব বিভাগেই উন্নতি করতে পারি। আজ নিজেদের প্রকাশ করার পালা। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে জিততে ৪০ ওভার ভালো খেলতে হবে আমাদের।’

বাংলাদেশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, লিটন দাস (উইকেটকিপার), সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান।

দক্ষিণ আফ্রিকা: কুইন্টন ডি কক (উইকেটকিপার), টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রাইলি রুসো, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, ট্রিস্টান স্টাবস, ওয়েন পার্নেল, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনর্খি নর্কিয়ে, তাবরাইজ শামসি।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

বৃষ্টির আশঙ্কা করা হলেও সিডনির আকাশে সূর্য হেসেছে। পিচ খেলার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বৃষ্টিতে সিডনির পিচ কভারে ঢাকা

বৃষ্টি পিছু ছাড়ছে না এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের পর বুধবার আফগানিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের ম্যাচটিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার হতে যাওয়া ম্যাচেও বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সেন্টার উইকেট কভারের নিচে। টস একটু দেরিতে হতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ওয়াশআউট হবে না বলেই জানা গেছে। হয়তো ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসতে পারে। বাংলাদেশ সময় ৯টায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা।

বর্তমানে ১ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-২ এর শীর্ষে বাংলাদেশ। এক পয়েন্ট পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় বাংলাদেশের জন্য দারুণ ব্যাপার হতে পারে। সেমিফাইনালের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *