সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না চিনি

স্টাফ রিপোর্টার

দিনাজপুরের হিলিতে হঠাৎ করেই বাড়তি চিনির দাম। সরকার চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও সে দামে কোনো দোকানেই মিলছে না চিনি। প্রতি কেজি চিনি ৯০ টাকা বিক্রির নির্দেশনা থাকলেও তা বিক্রি করা হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরে। পাইকারিতে দাম বাড়ানোয় খুচরা বাজারে পণ্যটি বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সরকার নির্ধারিত দামেই চিনি বিক্রি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পাইকারি বিক্রেতারা।

হিলি বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, সব দোকানেই পর্যাপ্ত চিনি সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু দাম আগের তুলনায় বেশি। দোকানে থাকা পণ্যের মূল্য তালিকায় চিনি ৯০ টাকা কেজি লেখা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১০ টাকা দরে।

হিলি বাজারে চিনি কিনতে আসা সিদ্দিক হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগে চিনি কিনেছিলাম ৯০ টাকা কেজি দরে। আর এখন ১০৮ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কেউ কেউ ১১০ টাকা চাইছেন।

হিলি বাজারের খুচরা চিনি বিক্রেতা মিরাজুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে আমরা চিনি ৮৮ টাকা করে কিনেছিলাম, যা দোকানে নিয়ে এসে ৯০ টাকা করে বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই চিনির দাম বাড়তি। বাজারে কোনো বড় দোকানি আগের দামে চিনি দিচ্ছেন না। মোকামে দাম বাড়ার কারণে আমাদের বাড়তি দামেই পণ্যটি বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে পাইকারিতে প্রতি কেজি চিনির দাম রাখা হচ্ছে ১০৮ টাকা। এসব চিনি খুচরা বাজারে ১১০ টাকা করে বিক্রি করছি। পাইকাররা চিনির দাম বাড়তি নিলেও ম্যামো দিচ্ছেন না। ম্যামো চাইলে কেউ কেউ চিনিই বিক্রি করছে না। ফলে বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে।

হিলি বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল বাকি বলেন, কী কারণে দাম বাড়ছে, তা বলতে পারছি না। আমরা যেসব মোকাম থেকে চিনি ক্রয় করি, তারা বলছে দাম বেশি। এতে আমাদের বাড়তি দামেই চিনি কিনতে হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের প্রতি কেজি চিনি কিনতে ব্যয় হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০২ টাকা। এসব চিনি বিক্রি করছি ১০৪ টাকা কেজি দরে। এছাড়া সংকটও রয়েছে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, কেউ যেন অন্যায়ভাবে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে, সেজন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আর্থিক জরিমানা ও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *