রুশ খাদ্যশস্যের শীর্ষ ক্রেতা হয়ে উঠছে ইরান

স্টাফ রিপোর্টার

রাশিয়া থেকে ব্যাপক হারে খাদ্যশস্য আমদানি বাড়াচ্ছে ইরান। এর মধ্য দিয়ে দেশটি রাশিয়ার শীর্ষ আমদানিকারকে পরিণত হচ্ছে। রাশিয়ায় অবস্থিত ইরানের রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালি সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আরটি।

রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত এক ফোরামে রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালি বলেন, বর্তমানে আমরা স্থানীয় চাহিদা মেটাতে রাশিয়া থেকে শস্য সরবরাহ করছি। ইরানে শস্য অধিগ্রহণের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আসছে। গত বছর রাশিয়া থেকে শস্য ক্রয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ইরান। আগামী বছর শীর্ষ স্থানটি আমাদের দখলে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তেহরান শস্য আমদানির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ইরানের গ্রেইন ইউনিয়নের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত বছরে প্রায় ৭০ লাখ টন গম আমদানির প্রয়োজন পড়বে দেশটির। খরা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় দেশটিতে উৎপাদন কম হওয়ায় এ বছরই গম আমদানি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে।

ইরানের পোর্টস ও মেরিটাইম অরগানাইজেশনের তথ্যানুসারে, গত বছর তেহরান ১ কোটি ৬৫ লাখ টন শস্য আমদানি করেছে। মোট আমদানীকৃত শস্যের অর্ধেকই ছিল গম। ইরানের রাষ্ট্রদূত এমন সময় এ বক্তব্য দিলেন যখন রাশিয়ার শস্য উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, চলতি কৃষি মৌসুমের এখন পর্যন্ত ১৪ কোটি ৭০ লাখ টনের বেশি শস্য উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে গম উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টন। ২০২২-২৩ কৃষি মৌসুমে ৩ কোটি ৯৫ লাখ গমসহ পাঁচ কোটি টন শস্য রফতানি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক গম রফতানিতে শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা। রাশিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ম্যাক্সিম রেশেতনিকভ বলেন, ২০২১-২২ কৃষি মৌসুমে মিসর, তুরস্ক ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় ৩ কোটি ৮১ লাখ টন শস্য রফতানি করা হয়। এর মধ্যে গমের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৭ লাখ টন। এর মাধ্যমে রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম শস্য রফতানিকারক হয়ে উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *