১০ হাজার কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে কাতার এয়ারওয়েজ
আগামী ২০ নভেম্বর শুরু হবে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ। সরাসরি খেলা দেখতে উড়োজাহাজে করে অনেক ফুটবলপ্রেমীর আগমন ঘটবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে। বাড়তি চাহিদা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে এরই মধ্যে ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কাতার এয়ারওয়েজ। রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটির এ কর্মী নিয়োগ কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী বৃহৎ সম্প্রসারণের অংশ। খবর রয়টার্স।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাতার এয়ারওয়েজের এক মুখপাত্র বলেন, দোহাভিত্তিক উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে। বর্তমানে সংস্থাটির ৪৫ হাজার কর্মী রয়েছে। নতুন করে কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির মোট কর্মীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রয়টার্সকে দেয়া এক বিবৃতিতে উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটি জানায়, কভিড-১৯ মহামারী ধীর হওয়ায় কাতার এয়ারওয়েজের সামগ্রিক পরিস্থিতি উন্নতির পথে রয়েছে। নভেম্বরে বিশ্বকাপের কারণে ফুটবল ভক্তদের আগমন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে।
তবে নতুন পদগুলোর মধ্যে কতগুলো স্থায়ী সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সংস্থাটি। কভিড-১৯ মহামারীর সময়ে সংস্থাটি তার গন্তব্য কমিয়ে ৩৩টি শহরে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিল। এরপর ২০২১ সালে ছাঁটাইয়ের পর প্রতিষ্ঠানটির কর্মী সংখ্যা ৩৭ হাজারের নিচে নেমে যায়। তবে করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে থাকায় ১৫০টির বেশি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা এবং নতুন কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে কাতার এয়ারওয়েজ। ওই মুখপাত্র আরো বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষে ফিলিপাইন, ভারতসহ অন্যান্য দেশে ফ্লাইট কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করতে যাচ্ছে কাতার। তবে বিশ্বকাপ উপলক্ষে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কতজন কর্মী কাজ শুরু করবে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেনি সংস্থাটি।
এদিকে টুর্নামেন্ট চলাকালে কাতার এয়ারওয়েজ দোহায় আগত অতিরিক্ত ফ্লাইটের জন্য সময়সূচির ৭০ শতাংশ সমন্বয় করেছে। একই সঙ্গে ফুটবল ভক্তদের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত উড়োজাহাজের জন্য ওই সময়ে অন্যান্য ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।
অন্যান্য এয়ারলাইনসও উল্লেখযোগ্যভাবে কাতারে ফ্লাইট বৃদ্ধি করেছে। ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য একটি পুরনো বিমানবন্দরও চালু করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে কাতার এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আকবার আল বাকের সাংবাদিকদের বলেন, এ অল্প সময়ে বৃহত্সংখ্যক দর্শকের সব চাহিদা পূরণের কাজটি খুবই চ্যালেঞ্জপূর্ণ হয়ে উঠবে।
দেশটিতে মাসব্যাপী টুর্নামেন্ট চলাকালে ১২ লাখ দর্শক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ দর্শক গ্রহণের সক্ষমতা বাড়াতে কর্মী ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে কাতার সরকার। এ কারণে অবকাঠামো, আতিথেয়তা ও নিরাপত্তা খাতে চাপ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।