ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি কমবে
পাম অয়েল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলেও এর প্রভাব এখনো কটিয়ে উঠতে পারেনি ইন্দোনেশিয়া। ফলে গত বছরের তুলনায় পণ্যটির রফতানি কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রফতানিতে গতি ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি দেশটি পণ্যটির রফতানি শুল্ক কমিয়েছে। আনা হয়েছে ডিএমও নীতিতে পরিবর্তনও। এ কারণে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে রফতানির পরিমাণ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে প্রত্যাশা খাতসংশ্লিষ্টদের। খবর রয়টার্স।
ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্যমতে, বছর শেষে দেশটির পাম অয়েল রফতানি দাঁড়াবে ৩ কোটি ৩৭ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় কম। এদিকে রফতানি কমার কারণে দেশটিতে পণ্যটির মজুদ বাড়ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ পাম অয়েল। লোকসান বাড়ছে উৎপাদক ও রফতানিকারকদের। গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় ৪১ লাখ টন পাম অয়েলের মজুদ থাকলেও এ বছর তা বেড়ে ৫০ লাখ টনে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেড অ্যান্ড প্রমোশন বিভাগের প্রধান ফাদিল হাসান বলেন, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে রফতানি বাড়লেও তা প্রথমার্ধের ক্ষতি পোষাতে পারবে না।
ইন্দোনেশিয়া বছরের প্রথমার্ধে পাম অয়েল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা। কিন্তু এতে দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় আরোহণ করে। তখন অনেক উৎপাদক কৃষকদের থেকে পাম ফল কেনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।