ভারতের সঙ্গে রপ্তানিতে বিরাট সাফল্য

স্টাফ রিপোর্টার

প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে রপ্তানিতে সাফল্য অর্জন করে চলেছে বাংলাদেশ। তবে, আমদানির পরিমাণ কমেছে। বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে দু’দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়েছে ৩৩১ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার। সামনে রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে মোট রপ্তানি হয়েছে ১২৭ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থ বছরে তা বেড়ে মোট রপ্তানি হয় ১৯৯ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার। তবে, ভারত থেকে আমদানিও বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৫ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য আমদানি হলেও ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২ কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। সার্বিকভাবে বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানিতে লেনদেন হয়েছে ৩৩১ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি।

২০২১-২২ অর্থবছরের রপ্তানির পরিসংখ্যান অনুযায়ী— বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হওয়া ১৯৯ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলারের পণ্যের মধ্যে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৭১ কোটি ৫৪ লাখ ১০ হাজার ডলার। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে এসেছে ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ১০ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার ডলার এসেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে। এ ছাড়া কটন ও কটন পণ্য থেকে ৩ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং প্লাস্টিক দ্রব্য থেকে ৩ কোটি ৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার এসেছে। এছাড়াও পেপার, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, পার্টসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করে এসেছে প্রায় ৯০ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন— বিগত সময়ের তুলনায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যসম্পর্ক আরও বেশি ভালো। বিভিন্ন কারণে ভারতে বাংলাদেশের বাজার আরও প্রশস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে পোশাকখাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করায় সেটির সুফলও মিলছে।

ভারতে রপ্তানি করা বাংলাদেশি পণ্যের মধ্যে রয়েছে- তৈরি পোশাক, তাঁতে বোনা কাপড়, টেক্সটাইল ফেব্রিকস, টেক্সটাইল, ন্যাকড়া (লুছনি), ভ্রমণজাতীয় পণ্য, হাতব্যাগ, আয়রন, স্টিল, জুতা, তুলা, প্লাস্টিক, বয়লার, পারমাণবিক চুল্লি, ময়দা, পানীয় স্প্রিট, ভিনেগার, তামা, কেমিক্যাল পণ্য, চামড়া, কাচ, কাচেরপাত্র, অর্গানিক কেমিক্যাল, আকরিক, ছাই, যানবাহনের পার্টস, চিনি, চিনি জাতীয় পণ্য, পেপার, পেপারবোর্ড, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, পার্টস, ভয়েস রেকর্ডার, রবার ও অন্যান্য পণ্য।

ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে- পেঁয়াজ, কফি, চা, মসলা, ডেইরি প্রোডাক্ট, বাদাম, ভোজ্য সবজি, অ্যালুমিনিয়াম, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, অ্যাসেনশিয়াল অয়েল, পারফিউম, কসমেটিকস, টয়লেট পেপার, অর্গানিক কেমিক্যাল, প্লাস্টিক, পাথর, শাবান, লুব্রিকেন্ট, পার্টসসহ অন্যান্য পণ্য।

বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের শীর্ষ ১০ বাজারের একটি ভারত। ২০২০-২১ অর্থবছরেও বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ রপ্তানি বাজারের তালিকায় ভারতের স্থান ছিল না। আগের বছরগুলোতে ভারতের অবস্থান ছিল ১৪ থেকে ১৫তম স্থানে। সবার ওপরে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিতীয় স্থানে জার্মানি। তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন ও পোল্যান্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *