গ্রীষ্মে এক কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে এমিরেটস

স্টাফ রিপোর্টার

আকাশপথে যাত্রী পরিষেবার ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংস্থার নাম এমিরেটস এয়ারলাইনস। কভিড মহামারী-পরবর্তী সময়ে আকাশপথে যাত্রী পরিবহন বেড়ে যাওয়ায় গত গ্রীষ্মে এয়ারলাইনসটি ৩৫ হাজার ফ্লাইটে এক কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে। মোট ১৩০টি গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে গিয়েছে এসব ফ্লাইট। কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে আকাশপথে ভ্রমণের চাহিদা বাড়ায় ফ্লাইট বাড়িয়েছে সংস্থাটি। খবর দ্য ন্যাশনাল নিউজ।

কভিড সংক্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ও মহামারীর কারণে যে খাতগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তার অন্যতম এয়ারলাইনস খাত। ফলে বিধিনিষেধ ও সীমান্তে কড়াকড়ি শিথিল হওয়ার পর এ খাতে বাড়তে থাকে ভ্রমণকারীর সংখ্যা। আগের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দুবাইভিত্তিক সংস্থাটি বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত থেকেছে। সেই সঙ্গে ভ্রমণ জটিলতা এড়িয়ে ফ্লাইটের সময়সূচির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিয়মানুবর্তী থাকার চেষ্টা করেছে। ভ্রমণের সময় যেসব বাধা সৃষ্টি হতে পারে তা সর্বনিম্নে নামিয়ে আনতে কাজ করেছে।

এক বিবৃতিতে এমিরেটস এয়াললাইনস বলছে, বিমানবন্দরে পৌঁছার পর যাত্রীকে যেন নির্ধারিত সময়ের বাইরে অপেক্ষা করতে না হয় সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। যেমন বিমানবন্দরে কিছু ব্যবস্থা ডিজিটাল করা হয়েছে। এতে যাত্রীদের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পূরণে কম সময় লাগছে। ফলে তারা দ্রুত বিমানবন্দর ত্যাগ করে উড়োজাহাজে উঠতে পারছেন।

এর আগে কর্মীদের অবরোধ এবং কর্মী সংকটের কারণে কিছু এয়ারলাইনসকে ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিল করতে হয়েছিল। কারণ বিমানবন্দরে যাত্রীর সংখ্যা এতই বেড়ে যাচ্ছিল যে তা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ছিল।

বিমানবন্দরে ভিড়, হইচই, অব্যবস্থাপনার কারণে ভ্রমণে বিরক্তি চলে আসছিল যাত্রীদের। কভিড নিষেধাজ্ঞা শেষে দীর্ঘদিন পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এমন অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে ইচ্ছুক নন কোনো যাত্রীই। তাই এ পরিস্থিতি থেকে যাত্রীদের স্বস্তি দিতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে শুরু করে এয়ারলাইনসগুলো।

এসব দিকে মনোযোগী হওয়ার কারণে বেড়েছে এমিরেটস এয়ারলাইনসের যাত্রীসংখ্যা। কেবল দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে এমিরেটসে পরিষেবা নেয়া যাত্রীর সংখ্যা তিন গুণ হয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যাত্রীসংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ। বছরের প্রথমার্ধের হিসাব করলে তা দ্বিগুণ হয়েছে। অর্থাৎ এ বিমানবন্দর ব্যবহার করে দুবাই ছেড়েছেন এমন যাত্রীসংখ্যা হয়েছে ২ কোটি ৭৯ লাখ।

গ্রীষ্মের এ ব্যস্ত সময়ে যাত্রীর চাপ সামাল দিতে নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়েছে এমিরেটস। চাহিদার কথা মাথায় রেখে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ৩১টি শহরে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। মালদ্বীপ, মেক্সিকো ও মিয়ামির মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় আবারো ফ্লাইট চালু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *