নিম্নমুখী চীনা রসুনের দাম
চলতি বছর কমতির দিকে রয়েছে চীনা রসুনের রফতানি মূল্য। উৎপাদন বাড়ায় বিদেশের বাজারে গত বছরের তুলনায় কম দামেই রসুন বিক্রি করছে চীন। এদিকে দাম কম থাকায় বৈদেশিক ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে চীনা রসুন। খবর ফ্রেস প্লাজা।
প্রতি বছর জুন থেকে আগস্টের মধ্যে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করে চীনা রসুন। প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ সরবরাহ আসে দেশটির স্যাংডং প্রদেশের জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে। এ বছর চীনা রসুনের গুণগত মান গত বছরের তুলনায় বেশি ভালো। স্থানীয় বাজারে বিক্রিও বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা কমতির দিকে। তবে সর্বসাকল্যে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
জিনিং মার্টিন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কোম্পানি লিমিটেড জানায়, চলতি বছর রসুনের দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। এবার উৎপাদনের পরিমাণ বেড়েছে। তাই বাজার সরবরাহ চাহিদাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এবার তুলনামূলক বেশি উৎপাদন হয়েছে বড় রসুন (৪ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৫ সেন্টিমিটারের মধ্যে)।
কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডেভিড জেং বলেন, চীনা রসুনের রফতানি স্থানীয় বাজারে বিক্রির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি এবার রফতানি মূল্যও নিম্নমুখী। প্রতি টন রসুন ১ হাজার ইউয়ান বা ১৪৫ ডলার ১৩ সেন্ট মূল্যে বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৫-২০ শতাংশ কম। রফতানি মূল্য কমার পেছনেও প্রধান কারণ ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন। পাশাপাশি চলমান মহামারী পরিস্থিতি ও বিশ্ববাজারে এর প্রভাবও দাম কমাতে সহায়তা করেছে। নতুন করে মহামারীর ধাক্কায় এ বছরও বিভিন্ন দেশে রেস্টুরেন্টগুলো তাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি। ক্ষেত্রবিশেষে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।