স্বচালিত গাড়িতে মনোযোগ বাড়াচ্ছেন ইলোন মাস্ক
কেবল বৈদ্যুতিক গাড়িই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলার নতুন পরিকল্পনা হলো স্বচালিত গাড়ি বাজারজাত করা। টেসলার সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ইলোন মাস্ক জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ গাড়ি যেন চলাচলের উপযোগী হয়ে যায় সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করা হচ্ছে। খবর ন্যাশনাল নিউজ।
চলতি সপ্তাহে নরওয়েতে এক জ্বালানি সম্মেলনে এ ধনকুবের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সম্ভব হলে ইউরোপের রাস্তায় স্বচালিত গাড়ি আরো ব্যাপকভাবে পরিচিতি পাবে বলে তার প্রত্যাশা। অবশ্য পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি পাওয়া সাপেক্ষে।
কেবল স্বচালিত গাড়িই নয়, মহাকাশ পরিবহন সংস্থা স্পেসএক্স নিয়েও নতুন নানা পরিকল্পনা করছেন ইলোন মাস্ক। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে দুটি পরিকল্পনার ওপর আমি লক্ষ্য স্থির করেছি। এগুলো হলো স্বচালিত গাড়ি ও স্পেসএক্স। আশা করি চলতি বছরের শেষ নাগাদ এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এ সময়ের মধ্যে কক্ষপথে ঘুরবে আমাদের স্টারশিপ এবং সড়কে চলাচলের উপযোগী হবে টেসলার স্বচালিত গাড়ি।
২০১৯ সালেই স্বচালিত গাড়ির বিষয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন ইলোন মাস্ক। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তার পরিকল্পনা হলো এ বছরের শেষ নাগাদ সড়কে থাকবে ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি। যেগুলো চালানোর জন্য কোনো চালকের প্রয়োজন হবে না। রোবোট্যাক্সি হবে একেবারেই স্বনিয়ন্ত্রিত। এতে কোনো প্যাডেল বা হুইল থাকবে না।
সম্প্রতি নিজের লক্ষ্যমাত্রা বদল করেছেন ইলোন মাস্ক। ১০ লাখ রোবোট্যাক্সির বদলে তার নতুন লক্ষ্য হলো ১০ লাখ মানুষকে টেসলার পূর্ণ স্বচালিত সফটওয়্যারের (এফএসডি) প্রতি আকৃষ্ট করা। রোবোট্যাক্সি ও এফএসডি প্রযুক্তির মধ্যে বেশ বড় পার্থক্য রয়েছে। রোবোট্যাক্সি চালক ছাড়াই সেবা দিতে সক্ষম। অন্যদিকে এফএসডি পরিচালনার জন্য চালক প্রয়োজন হবে। এফএসডি প্রযুক্তিযুক্ত গাড়ি নিজে নিজে চলতে পারবে, তবে যেকোনো সময় এর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবেন চালক।
ইলোন মাস্ক বলেন, বিশ্ব এ মুহূর্তে যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করছে তার মধ্যে অন্যতম হলো টেকসই জ্বালানি ও টেকসই অর্থনীতিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়া। এ রূপান্তরে চলতি দশক পুরোটাই ব্যয় হবে বলেও মত দেন তিনি।