সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব : বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার স্বাস্থ্য, জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশ সরকার বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছে এবং আইন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে ৩০-৩১ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শীর্ষক সাউথ এশিয়ান স্পিকারস সামিট এর সমাপনী অনুষ্ঠানে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ চলছে। তামাক সেক্টর থেকে সরকার যে পরিমান রাজস্ব পেয়ে থাকে, তারচেয়েও অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী রোববার (২৮ আগষ্ট, ২০২২) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত “প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তামাক শিল্পের সাথে অনেক মানুষ জড়িত আছে, এ মানুষগুলোর বিকল্প কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যা করনীয় সেগুলো করা হবে। সচেতনা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার অর্ধেকে কমিয়ে আনা সম্ভব। তামাক বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দেশের প্রচার মাধ্যগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দু’টি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। একটি বাঙ্গালী জাতির মুক্তি অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনত, অপরটি হলো আমাদের অর্থনৈকিত মুক্তি। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহান জাতীয় সংসদে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক হোসেন চৌধুরী, এমপি, এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রান গোপাল দত্ত, এমপি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন হেলথ সেন্টারের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিসিআইসি’র অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ক্যাম্প্যাইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস এর লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খন্দকার, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার সৈয়দ মাহফুজুর হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের হেলথ ও ওয়াশ সেক্টর এর পরিচালক ইকবাল মাসুদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *