রাশিয়ার তেল আমদানি করতে যাচ্ছে মিয়ানমারও
বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকটের কারণে এবার রাশিয়া থেকে গ্যাসোলিন ও জ্বালানি তেল আমদানি করার পরিকল্পনা করেছে মিয়ানমারও। দেশটির জান্তা সরকারের এক মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। গত বছর নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির ক্ষমতা কেড়ে নেয় সামরিক বাহিনী। অপরদিকে, ইউক্রেনের আগ্রাসনকে রাশিয়া ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে অ্যাখা দিচ্ছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জো মিন তুন বলেছেন, রাশিয়া থেকে পেট্রল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন তারা। তবে এটি ভালো পরিমাণে ও সাশ্রয়ী মূল্যে বলেও জানান তিনি।
দেশটির গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর নাগাদ পৌঁছতে পারে তেলবাহী জাহাজ।
এর আগে রাশিয়া থেকে ফের জ্বালানি তেল আমদানি শুরু করে জাপান। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জুলাই থেকে আমদানি শুরু হয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার তেল রপ্তানিতে তেমন প্রভাব পড়েনি বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সৌদি আরবের মতো বিভিন্ন দেশ বরং তাদের থেকে আমদানি আরও বাড়িয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে চীন, ভারতসহ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশও।
বিশ্ববাজারে তেল, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি রাশিয়ার জন্য আরও সুফল বয়ে এনেছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনে দেশটির চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রেকর্ড সাত হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
চলতি বছর জ্বালানি রপ্তানি থেকে রাশিয়ার আয় বেড়ে ৩৩ হাজার ৭৫০ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। গত বছরের তুলনায় এই আয় ৩৮ শতাংশ বেশি। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের নথির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানাচ্ছে এমন তথ্য।
সূত্র: আল-জাজিরা