পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে: চট্টগ্রাম বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার

বাঙ্গালী জাতির সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক “স্বপ্নের পদ্মা সেতু” উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বিজিএমইএ এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান বিজিএমইএ কর্তৃক চট্টগ্রামস্থ বিজিএমইএ ভবনের মাহাবুব আলী হল-এ সরাসরি প্রদর্শন ও উপভোগ করা হয়। এ’সময় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম, এ.এম. শফিউল করিম (খোকন), এম. আহসানুল হক, মিরাজ-ই-মোস্তফা কায়সার, প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, প্রাক্তন পরিচালক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, এস.এম. সাজেদুল ইসলাম, শেখ সাদী, সাব্বির মোস্তফা, আমজাদ হোসেন চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, বিপুল সংখ্যক পোশাক শিল্প মালিক, বিজিএমইএ ফ্যাশন টেকনোলজি ইনন্সিটিউট (সিবিআইএফটি)-এর শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ বিজিএমইএ’র কর্মকর্তা ও প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শনবিার (২৫ জুন, ২০২২) এ সংবাদ বজ্ঞিপ্ততিে এ তথ্য জানায়।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি স্বাধীনতার লাল-সবুজ পতাকা অর্জন করেছে। পরবর্তীতে তারই সুযোগ্য কন্যা সততা, সাহসিকতা ও দৃঢ় সংকল্পের অধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক “স্বপ্নের পদ্মা সেতু” উদ্বোধন করে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একটি মাইলফলক স্থাপন করেছেন। এ’সেতু উদ্বোধনের ফলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে, দেশ একটি আত্মমার্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবে। তিনি আরো বলেন এ’সেতুর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সহযোগী বন্দর হিসেবে মংলা ও পায়রা বন্দরের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে, এর ফলে উন্নয়ন কার্যক্রমের বর্ধিত চাপ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পূর্বক বিশ্বমানের বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বে-টার্মিনাল সহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত সম্পাদন করা প্রয়োজন।

বিশেষ করে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, বিমান বন্দর থেকে লালখাঁন বাজার পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ, মাতারবাড়ীতে গভীর সমূদ্র বন্দর নির্মাণ, কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, সমূদ্র ঘেষে আউটার লিংক রোড নির্মাণ, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন, মিরশ্বরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্প অঞ্চল ও আনোয়ারায় অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড যথাসময়ে বাস্তবায়নে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিজিএমইএ সব সময় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের গর্বিত অংশীদার হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে মর্মে তিনি মন্তব্য করেন।

বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন সহ দেশের যুগান্তকারী অর্জন ও উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার হিসেবে বিজিএমইএ দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার স্বার্থে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। উক্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপভোগ শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মধা‎হ্নভোজের আয়োজন করা হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *