ব্রাজিলে নিম্নমুখী চিনি উৎপাদন
ব্রাজিলে ফের কমতে শুরু করেছে চিনি উৎপাদন। মূলত আখ থেকে ইথানল উৎপাদন বাড়ায় চিনি শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বছরের শুরুর দিকে উৎপাদন ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ব্রাজিলিয়ান আখ শিল্প গ্রুপ ইউনিকা সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্লাটস।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলে ২৩ লাখ ১০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমেছে।
ইউনিকা বলছে, ব্রাজিলের আখ মাড়াই কলগুলো গত মাসের দ্বিতীয়ার্ধে ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার টন আখ মাড়াই করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মাড়াইয়ের হার বেড়েছে দশমিক ৪ শতাংশ।
এদিকে চলতি মাসের শুরু থেকেই ব্রাজিলের ২৪৮টি মিলে উৎপাদন কার্যক্রম চালু ছিল। অন্য তিন মিলের কার্যক্রম চলতি মাসের প্রথমার্ধে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে একই সময় আখ থেকে ইথানল উৎপাদন ২০৩ কোটি ১০ লাখ লিটারে উন্নীত হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ছে।
প্রসঙ্গত, ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্তে রূপ নিতে যাচ্ছে চিনির বৈশ্বিক বাজার। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাসই দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশন (আইএসও)। আইএসও সম্প্রতি চিনির বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ত্রৈমাসিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন করা প্রক্ষেপণে দেখা গিয়েছে, ২০২১-২২ মৌসুমে চিনির ১৯ লাখ ২০ হাজার টনের বৈশ্বিক ঘাটতি ২ লাখ ৩৭ হাজার টন উদ্বৃত্তে পরিণত হতে যাচ্ছে।
পণ্যটির বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যালান্সে এমন পরিবর্তনে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন। আইএসও সর্বশেষ প্রতিবেদনে চিনির বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে করা পূর্বাভাসের তুলনায় উৎপাদন ৩৫ লাখ ১০ হাজার টন বাড়তে পারে। এ বছর মোট উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৭ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার টনে।