বাইডেনকে পাত্তা দিচ্ছে না কিম জং

স্টাফ রিপোর্টার

উত্তর কোরিয়া করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বহু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে দেশটিতে। খবর পাওয়া গেছে লকডাউন জারি থাকা দেশটিতে কয়েক দিনের ব্যবধানে ‘জ্বরে’ আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২৫ লাখ মানুষ। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা স্বীকার করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন প্রস্তাবে সাড়া নেই উত্তর কোরিয়ার।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, করোনা ছড়িয়ে পড়ার কথা প্রথম স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন প্রস্তাবে সাড়া দিচ্ছে না উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া সফরকালে প্রেসিডেন্ট বাইডেন শনিবার (২১ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এই ভ্যাকসিন প্রস্তাবের ঘোষণা দেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘আমরা শুধু উত্তর কোরিয়াকেই নয়, চীনকেও ভ্যাকসিনের প্রস্তাব দিয়েছি এবং আমরা তা অবিলম্বে করতেও প্রস্তুত রয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, তবে আমরা সাড়া পাইনি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করারও ইচ্ছা পোষণ করেন।

উত্তর কোরিয়ার সরকার এর আগে কোভ্যাক্সের বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন-শেয়ারিং স্কিম এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ভ্যাকসিনের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করে বলে জানা গেছে। দেশটির দাবি সীমান্ত বন্ধ রেখে তারা কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কোন টিকা ও কার্যকরী অ্যান্টি-ভাইরাল ঔষধ ছাড়া সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করছে উত্তর কোরিয়া।

‘জ্বর’ থেকে মুক্তি পেতে উত্তর কোরিয়ার সব রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে সনাতনী চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চলার আহবান জানানো হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের মৌলিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি বিনা খরচে সরকারি হাসপাতালে বিশেষায়িত চিকিৎসাও দেওয়া হয়। তবে কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও তীব্র খরার কারণে দেশটির অর্থনীতি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এসব কারণে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের বাইরের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা, কর্মী, ঔষধ এবং যন্ত্রপাতির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা কর্মসূচি গ্রহণ না করায় দেশটির আড়াই কোটি মানুষ এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এদিকে, চীনও ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে। দেশটিতে আবারও বহু মানুষকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।

তিন দিনের সফরে দক্ষিণ কোরিয়া অবস্থান করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এই সফর শেষে তিনি যাবেন জাপানে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই বাইডেনের প্রথম এশিয়া সফর।

সূত্র: বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *