মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ বাড়ল ২ লাখ টন

পাম অয়েল উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় মালয়েশিয়ার অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। চলতি বছরের অক্টোবর শেষে দেশটিতে পণ্যটির সমাপনী মজুদ আগের মাসের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে।

মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের (এমপিওবি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মূলত বাড়তি উৎপাদনের জের ধরে এ সময় মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্স ও স্টার অনলাইন।

এমপিওবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের অক্টোবর শেষে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের সমাপনী মজুদ দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ২০ হাজার টনে, যা আগের মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটিতে পাম অয়েলের সমাপনী মজুদ ছিল ২৫ লাখ ২০ হাজার টন। সে হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে মালয়েশিয়ায় পণ্যটির মজুদ বেড়েছে ২ লাখ টন। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে পাম অয়েল মজুদে কয়েক মাসের মন্দাভাব কেটেছে।

মূলত বাড়তি উৎপাদনের কারণে গত অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ আগের মাসের তুলনায় বেড়েছে। এ সময় দেশটিতে সব মিলিয়ে ১৯ লাখ ৬০ হাজার টন অপরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছে, যা আগের মাসের তুলনায় ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বেশি।

গত সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় মোট ১৮ লাখ ৫০ হাজার টন পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছিল। সে হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের উৎপাদন বেড়েছে ১ লাখ ১০ হাজার টন।

তবে উৎপাদন বাড়লেও চলতি বছরের অক্টোবরে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানিতে মন্দাভাব দেখা গেছে। এ সময় দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে বলে জানিয়েছে এমপিওবি, যা আগের মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম।

গত সেপ্টেম্বরে দেশটি থেকে মোট ১৬ লাখ ১০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছিল। দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ বৃদ্ধির পেছনে এটি বড় একটি কারণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *