এভিয়েশন শিল্পের কেন্দ্রে পরিণত হতে চায় সৌদি আরব
এভিয়েশন খাতে সক্ষমতা বাড়াতে শুরু করেছে সৌদি আরব। এজন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে, যার কিছু এরই মধ্যে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। দেশের উন্নয়নে ভিশন ২০৩০ নামে যে অর্থনৈতিক রূপান্তর পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তিই হলো যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাত। দেশটির প্রত্যাশা, এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এভিয়েশন খাতের নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে এভিয়েশন খাতে ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশা নিয়ে সম্প্রতি সৌদি আরব আয়োজন করে ফার্স্ট ফিউচার এভিয়েশন ফোরামের সম্মেলন। দেশটির রাজধানী রিয়াদে এ আয়োজনে সমবেত হয়েছিলেন বিশ্বের এভিয়েশন খাতের সব হর্তাকর্তারা। মূলত নভেল করোনাভাইরাসজনিত মহামারীর কারণে এ খাতের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা ও ব্যবসাকে টেকসই করার বিষয়ে আলোচনা হয় সম্মেলনে।
সৌদি আরবের ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সালেহ বিন নাসের আল জাসের বলেন, এ খাত যেন মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে, গ্রাহকদের যেন আরো উন্নত সেবা দেয়া যায় এবং কম কার্বন নিঃসরণ করে এমন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের বিষয়ে বিশ্বের এভিয়েশন খাতের শীর্ষ ব্যক্তিরা সম্মত হয়েছেন। এ লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করার প্রত্যয়ও এ সম্মেলন থেকে ব্যক্ত করা হয়েছে।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আকাশপথে আরো ২৫০টি গন্তব্যে পৌঁছতে চায় সৌদি আরব। পাশাপাশি বিশ্বের ৩৩ কোটি মানুষকে সেবা দিতে এবং কার্গো সক্ষমতা ৪৫ লাখ টনে উন্নীত করতে চায় আরব বিশ্বের এ দেশ। এজন্য আটটি নতুন আঞ্চলিক বিমানবন্দরের পাশাপাশি আরো একটি রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইনস পরিচালনার কথা ভাবা হচ্ছে।