সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা লুফথানসার
কভিডের বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে পুনরুদ্ধার হচ্ছে উড়োজাহাজ ভ্রমণ। বিশ্বজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ভ্রমণের চাহিদা। এ অবস্থায় চলতি বছরের মাঝামাঝিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়বে বলে আশা করছে এয়ারলাইনসগুলো। এরই অংশ হিসেবে এশীয় অঞ্চলে ফ্লাইট সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে লুফথানসা। চলতি বছর সক্ষমতা মহামারীর আগে ২০১৯ সালের পর্যায়ের ৬১ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য জার্মান উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটির। খবর ব্যাংকক পোস্ট।
লুফথানসা গ্রুপের থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও মেকং অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক স্টেফান মোলনার বলেন, কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিল করে বেশির ভাগ দেশ সীমান্ত খুলে দেয়ায় চলতি বছর আমাদের ফ্লাইট বাড়ছে। চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলে থাইল্যান্ডে গড় লোড ফ্যাক্টর বেড়ে ৭৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গত বছরজুড়ে এ হার মাত্র ৩৩ শতাংশ ছিল। কভিড সংক্রমণ কমে যাওয়ায় মানুষ আবারো ভ্রমণ শুরু করেছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় রুটেই চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এজন্য চলতি বছর আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে।
লুফথানসাকে থাইল্যান্ডের বৃহত্তম ইউরোপীয় এয়ারলাইনস গ্রুপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গ্রুপটির আওতায় লুফথানসা, অস্ট্রিয়ান, সুইস, ব্রাসেলস ও ইউরোউইংস এয়ারলাইনস রয়েছে।
স্টেফান মোলনার বলেন, লুফথানসা গ্রুপ গত সোমবার থেকে ব্যাংকক থেকে মিউনিখ পর্যন্ত প্রতিদিন, গ্রুপের অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইনসের মাধ্যমে ভিয়েনা পর্যন্ত প্রতিদিন এবং সুইস এয়ারলাইনসের মাধ্যমে জুরিখ পর্যন্ত চারটি সাপ্তাহিক ফ্লাইট অফার করছে। আগামী জুন ও জুলাইয়ে ফ্লাইটের সংখ্যা আরো বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
চলতি বছরের মাঝামাঝিতে বিশ্বজুড়ে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমের বুকিং প্রাক-কভিড স্তর ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে লুফথানসা। গত বছর সংস্থাটি ৪ কোটি ৭০ লাখ যাত্রী পরিষেবা দিয়েছে। এ সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে লুফথানসার বিক্রয় বিভাগের প্রধান সাব্রিনা উইন্টার বলেন, অবসর ও পর্যটন এ অঞ্চলের উড়োজাহাজ ভ্রমণ পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বিশেষ করে স্বল্প দূরত্বে ভ্রমণের চাহিদায় উল্লম্ফন তৈরি হচ্ছে। যদিও করপোরেট ভ্রমণ খুব ধীরে পুনরুদ্ধার হচ্ছে বলেও জানান তিনি।