ইউরোপে অতিরিক্ত এলএনজি রফতানি করবে যুক্তরাষ্ট্র

স্টাফ রিপোর্টার

ইউরোপের বাজারে অতিরিক্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানি করবে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারির ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। খবর রয়টার্স ও ইয়াহু নিউজ।

লম্বা সময় ধরেই তীব্র জ্বালানি সংকটের মধ্যে রয়েছে ইউরোপ। ফলে বিদ্যুৎসহ সব ধরনের পণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। জ্বালানি চাহিদা পূরণে অঞ্চলটি রাশিয়ার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। চলমান সংকটে এ নির্ভরতা আরো বেড়েছে। কিন্তু তাতে বাদ সেধেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। মস্কো তার প্রতিবেশী দেশটির ওপর আগ্রাসন চালানোয় ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এসব দেশ কয়েক ধাপে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি পণ্য আমদানি কমিয়ে আনার কথা ভাবছে ইউরোপ। এক্ষেত্রে সহায়তার হাত বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, ইউরোপে অতিরিক্ত এলএনজি রফতানি লক্ষ্যে দুটি আজ্ঞাপত্র ইস্যু করা হয়েছে। এতে শীর্ষ সরবরাহকারী শেনেয়ার এনার্জির দুটি কেন্দ্র ইউরোপে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৭২ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। কেন্দ্রগুলো হলো লুইজিয়ানার সাবিন পাস ও টেক্সাসের কর্পাস ক্রিস্টি টার্মিনাল। নতুন পদক্ষেপের আওতায় যেসব দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, সেগুলোয়ও এলএনজি রফতানি করা যাবে। এর আগে টার্মিনালগুলো শুধু মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় থাকা দেশে এলএনজি রফতানি করতে পারবে। গত বছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন গড়ে ৯৬০ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি করেছিল।

মন্ত্রণালয় বলছে, সম্প্রতি নেয়া এ উদ্যোগের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো এলএনজি রফতানি প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় জ্বালানি পণ্যটি রফতানি করতে পারবে।

তথ্য বলছে, গত বছর ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের যে পরিমাণ চাহিদা ছিল, তার ৪০ শতাংশই পূরণ করেছে রাশিয়া। তবে গত মাসে ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিলে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো যখন রাশিয়াকে একঘরে করে দেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, ঠিক তখনই জ্বালানি খাতে রাশিয়ার ওপর ইউরোপের ব্যাপক নির্ভরশীলতার বিষয়টি আলোচনায় আসে। এর পরই মার্কিন প্রশাসন অঞ্চলটিতে এলএনজি বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *