চীনে আকরিক লোহার দাম কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার

চীনে আকরিক লোহার বাজার আদর্শে ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ৫ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে দুই সেশনে ধাতব পণ্যটির দুই দফা নেতিবাচক অবস্থানের পর এমনটা দেখা গেছে। সরবরাহ সংকট ও চাহিদার পুনরুদ্ধার হওয়ার ফলে এমনটা দেখা যায়।

মাইস্টিল কনসালট্যান্সির দেয়া তথ্যে দেখা যায়, গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিল থেকে আকরিক লোহার জাহাজীকরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ টন। এক সপ্তাহ আগের তুলনায় এটির পরিমাণ ৫ লাখ ৬৭ হাজার টন কম। সম্প্রতি ইস্পাত নির্মাণের কাঁচামালটির চাহিদা স্বল্পসময়ে বাড়ার ফলে দামে উল্লম্ফন দেখা যায় বলে মনে করছেন মাইস্টিলের বিশ্লেষকরা।

ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অনুসারে, আকরিক লোহার মে মাসে সরবরাহের জন্য সকালের সেশনে ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ৫ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ে। এর আগে এটি আরো ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি টনের মূল্য দাঁড়ায় ৮০৪ ইউয়ান।

ডালিয়ান এক্সচেঞ্জে ধাতব কয়লার ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি টন ৩ হাজার ৮২ ইউয়ান। একই সময়ে  কোল কোকের দাম দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি টন ৩ হাজার ৬৭৩ ইউয়ান। মাইস্টিল বিশ্লেষকরা বলেন, কোক কয়লার ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী। চাহিদা পুনরুদ্ধার ও খরচের কারণে এমনটা দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে স্টেইলনেস স্টিলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ৪ দশমিক ১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি টন ১৯ হাজার ১৪০ ইউয়ান। তবে সারা সপ্তাহের হিসাবে স্টেইনলেস স্টিলের দাম ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি রয়েছে। নিকেলের দামে অস্থিরতা চলমান থাকায় এমনটা হয়েছে।

এদিকে ফেব্রুয়ারিতে চীনের তামার পাত উৎপাদন বেড়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। এক মাস আগের তুলনায় উৎপাদন বৃদ্ধির এ দৃশ্য দেখা যায়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যান্টাইকের দেয়া এক তথ্যে এমনটা দেখা যায়।

ফেব্রুয়ারিতে চীনের ২২টি তামা গলানোর প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৯০০ টন তামার পাত উৎপাদন করে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। জানুয়ারিতে এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টন। এসব প্রতিষ্ঠান দেশটির মোট সক্ষমতার ৮৩ শতাংশের জোগান দেয়।

অ্যান্টাইক জানায়, চলতি মাসে এসব কোম্পানির মোট উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় আট লাখ টনে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে এসব প্রতিষ্ঠান মোট ১৫ লাখ ৩০ হাজার টন তামার পাত উৎপাদন করে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে ফেব্রুয়ারিতে চীনের সীসা উৎপাদন ৫১ হাজার টন কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩২ হাজার টন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *