লেভানদোভস্কি রেকর্ডগড়া হ্যাটট্রিক

৭ গোল দিয়ে শেষ আটে বায়ার্ন

স্টাফ রিপোর্টার

প্রথম লেগে শেষ সময়ের গোলে কোনোমতে হার এড়িয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এবার ঘরের মাঠে এসে রীতিমত বিধ্বংসী রূপ দেখালো তারা। রবার্ট লেভানদোভস্কি করলেন রেকর্ডগড়া হ্যাটট্রিক। বায়ার্নও পেলো ৭-১ গোলের বিশাল জয়।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে সালসবুর্গকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে নাম লিখিয়েছে বায়ার্ন। দুই লেগ মিলিয়ে ৮-২ ব্যবধানে এগিয়ে পরের ধাপে পা রেখেছে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল।

প্রথম লেগে বিবর্ণ ফুটবল খেলা বায়ার্ন এবার সমালোচকদের জবাব দিয়েছে দাপুটে খেলেই। ২৩ মিনিটের মধ্যেই লেভানদোভস্কির হ্যাটট্রিকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জার্মান ক্লাবটি।

পোল্যান্ড অধিনায়কের প্রথম দুই গোলে অবশ্য অবদান সালসবুর্গ ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিলিয়ান ওবেরের। দুবারই বেপরোয়াভাবে তাকে আটকাতে যান এই সেন্টার ব্যাক। দ্বিতীয় পেনাল্টি নিশ্চিত হয় ভিএআর রিভিউয়ে।

দ্বাদশ মিনিটের পর ২১তম মিনিটে স্পট কিকে গোল করা লেভানদোভস্কি ২৩তম মিনিটেই পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। মাঝমাঠ থেকে মুলারের লম্বা পাস ক্লিয়ার করতে বক্সের বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন সালসবুর্গ গোলরক্ষক।

সেই সুযোগটাই কাজে লাগান লেভানদোভস্কি। ফাঁকায় বল পেয়ে যান পোলিশ স্ট্রাইকার। প্রথমে বল পোস্টে লেগে ফিরলেও পরে আলতো ছোঁয়ায় সময় নিয়ে সেটি জালে জড়ান তিনি। ১১ মিনিটের ব্যবধানে পূরণ করেন হ্যাটট্রিক।

ম্যাচের ২৩ মিনিটের মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে হ্যাটট্রিকের ঘটনা এটিই প্রথম। তবে প্রতিযোগিতার দ্রুততম হ্যাটট্রিক নয় এটি। ২০১১ সালে ডিনামো জাগরেবের বিপক্ষে লিঁওর ৭-১ গোলের জয়ে আট মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে রেকর্ডটি নিজের করে রেখেছেন বাফেতিমবি গোমিস।

এবারের আসরে লেভানদোভস্কির এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারের হ্যাটট্রিক হলো ৫টি। তার চেয়ে বেশি আছে কেবল মেসি ও রোনালদোর, দুজনেরই সমান ৮টি করে।

লেভার হ্যাটট্রিকের পর ৩১ মিনিটে কোম্যানের পাস থেকে ব্যবধান আরও বাড়ান জিনাব্রি। দ্বিতীয়ার্ধেও যথারীতি আধিপত্য ধরে রাখে বায়ার্ন। ৫৪তম মিনিটে দারুণ গোলে স্কোরলাইন ৫-০ করে ফেলেন মুলার।

৭০তম মিনিটে সান্ত্বনার একটি গোল পায় সালসবুর্গ। বদলি হিসেবে নেমে গোল করেন ১৮ বছর বয়সী কমান কাইগার্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটিই তার প্রথম গোল।

শেষ দিকে আরও দুই গোল করে বড় জয় নিশ্চিত করে বায়ার্ন। ৮৩তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল তুলে নেন মুলার। এক মিনিট পর লেভানদোভস্কির ব্যাকহিল ফ্লিকে বল পেয়ে গোল উৎসবে সঙ্গী হন লেরয় সানেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *