রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে বিরাট লাফ

স্টাফ রিপোর্টার

ফেব্রুয়ারিতে দেশে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। এমন পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারির ২৮ দিনে ৪২৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছেন উদ্যোক্তারা। এই আয় গত বছরের ফেব্রুয়ারির চেয়ে ৩৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি।

বুধবার (২ মার্চ) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পণ্য রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে।

এতে দেখা গেছে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ৩ হাজার ৩৮৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।

ফেব্রুয়ারিতে ৩০ হাজার কোটি টাকার তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন উদ্যোক্তারা। এর পাশাপাশি কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি আয় বেড়েছে। তবে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে ৩৫২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে যা দেশীয় মুদ্রায় ৩০ হাজার ২৭২ কোটি টাকার সমান। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ২ হাজার ৭৫০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে।

এছাড়া জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ৮৫ কোটি ৩২ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য, ৯৯ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল, ৭৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ থেকে ৪০ কোটি ৭১ লাখ ডলার, পাটজাত পণ্য থেকে ৮০ কোটি ডলার ও ওষুধ রপ্তানি থেকে এসেছে ১৩ কোটি ৬ লাখ ডলার।

জানুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছিল ৪৮৫ কোটি ডলারের বা ৪১ হাজার ৭১০ কোটি টাকার পণ্য। জানুয়ারির তুলনায় রপ্তানি কমলেও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।

চলতি অর্থবছরের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। গত অর্থবছর রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ডলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *