বইমেলার হাইজিন সুরক্ষা নিশ্চিত করছে ডেটল ও হারপিক
১ ফেব্রুয়ারি থেকে অমর একুশে বইমেলা শুরু হওয়ার রীতি থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তা বিলম্বিত হয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়। স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে প্রাধান্য দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আর এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বইমেলার হাইজিন পার্টনার হিসেবে এগিয়ে আসে বিশ্বের প্রথম সারির হাইজিন ব্র্যান্ড ডেটল ও হারপিক।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২২-এর উদ্বোধনী বক্তব্যে সারা দেশে সংস্কৃতি চর্চা আরও বাড়ানোর পাশাপাশি সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও সারা দেশের মতো বইমেলাতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন।
একটি বিষয় পরিষ্কার যে, এ বছর একুশে বইমেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এদিকে ডেটল ও হারপিক সবসময় মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করে আসছে। আর তাই, বইমেলায় দর্শনার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে অফিসিয়াল হাইজিন পার্টনার হিসেবে অভিজ্ঞ এই ব্র্যান্ড দুটি এগিয়ে আসে।
এর অংশ হিসেবে ডেটল সুরক্ষিত অমর একুশে বইমেলা স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে বেশ কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে । মেলার প্রবেশ পথেই সকল দর্শনার্থীদের হাত স্যানিটাইজ করাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ ও সাহায্য প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও হারপিকের পক্ষ থেকে মেলা প্রাঙ্গনের সকল টয়লেট পরিষ্কার রাখার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য প্রবেশ পথের পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গনে কোভিড-১৯ সুরক্ষা বুথ স্থাপন করা হয়েছে। যেখান থেকে গ্রাহকরা সাবান ও হ্যান্ড-স্যানিটাইজারের মতো প্রোডাক্টগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও সমস্ত টয়লেটে হ্যান্ডওয়াশ রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে ফারনাজ করিম, মার্কেটিং ম্যানেজার, ডেটল বাংলাদেশ বলেন “মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকেই ডেটল করোনা প্রতিরোধ ও এ থেকে নিরাপদ থাকার সঠিক উপায় সম্পর্কে সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছে। একটি দায়িত্বশীল ব্র্যান্ড হওয়ায় সেই চিন্তা থেকেই আমরা এই বছরের একুশে বইমেলায় আসা দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার বেশ কিছু ব্যবস্থা রেখেছি।”
মার্কেটিং ম্যানেজার সালাহউদ্দিন তারেক, হারপিক বাংলাদেশ বলেন “আমরা দর্শনার্থীদের জন্য জীবাণুমুক্ত পরিচ্ছন্ন টয়লেটের ব্যবস্থা রেখেছি। যেখানে তারা হ্যান্ড-ওয়াশ ও স্যানিটাইজারও পাবেন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে দরকার ব্যক্তি সচেতনতা। তাই মেলায় আগত সকল দর্শনার্থীদের মাস্ক পরতে এবং নিয়মিত হাত পরিষ্কার করার জন্য অনুরোধ করছি।”
ডেটল ও হারপিকের এই কর্মযজ্ঞকে সাধুবাদ জানিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “বইমেলা সকলের মেলা। তাই এটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সকলের সহযোগীতা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি ডেটল ও হারপিককে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি নিজ উদ্যোগে বইমেলার হাইজিন পার্টনার হিসেবে এগিয়ে আসার জন্য।”
মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনাথী তাসমিন শাহাদত ডোরা তার সন্তান নিয়ে মেলায় এসে নিজের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন, “করোনার ভয়ে এবার মেলায় আসবো কিনা সেই ব্যাপারে একটু দ্বিধান্বিত ছিলাম। পরে জানতে পারলাম যে এবার নাকি হাইজিন মেইন্টেইন করা হচ্ছে ভালো মতোই। এসে দেখলাম আসলেই তাই। ডেটল আর হারপিক ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। কোভিড-১৯ সুরক্ষা বুথের পাশাপাশি টয়লেটগুলো পরিচ্ছন্ন রেখেছে। ডেটল ও হারপিকের এই উদ্যোগ খুব ভালো লেগেছে আমার।”
পরিচ্ছন্নতা এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে রেকিট বেনকিজার-এর দুইটি ব্রান্ড, ডেটল এবং হারপিক একত্রিত হয়ে “পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ”-এর মতো বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বইমেলায় হাইজিন পার্টনার হিসেবে পাশে থাকাটা এই উদ্যোগেরই একটি অংশ।