জাপানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.৪%
বিদায়ী বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) জাপানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। সম্প্রতি জাপান সরকার জানিয়েছে, ভোক্তা ব্যয় এবং রফতানির ঊর্ধ্বমুখিতার কারণে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। খবর এপি।
ক্যাবিনেট অফিসের তথ্যমতে, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে জাপানের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে পণ্য ও সেবার এ প্রবৃদ্ধি বেশ আশাব্যঞ্জক। কারণ এর আগে দুটি প্রান্তিকে সংকোচনের পর প্রবৃদ্ধি দেখল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটি।
গত বছর কভিড-১৯ মহামারীজনিত বিধিনিষেধ শিথিল করার ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পায় দেশটির। এর আগে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটি। তখন রেস্তোরাঁ ও বারগুলো আগে আগে বন্ধ করা, বড় অনুষ্ঠানগুলো স্থগিত কিংবা লোকসংখ্যা সীমিত করে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
মহামারীর প্রকোপের কারণে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় জাপানে। তবে গত বছরের শেষদিকে ভ্রমণ নীতিমালা শিথিল করতে শুরু করে জাপান সরকার। কিন্তু টোকিওসহ জাপানের অন্যান্য অঞ্চলে নভেল করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা আবারো বাড়ায় দেশের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত।
বিদায়ী বছর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয় ১ দশমিক ৭ শতাংশ। গত তিন বছরে প্রথম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয় দেশটির। জুলাই-সেপ্টেম্বরে জাপানের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছিল ২ দশমিক ৭ শতাংশ। এপ্রিল-জুনে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয় ২ দশমিক ৪ শতাংশ।
এদিকে গত বছর দেশীয় চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী ছিল জাপানে। চতুর্থ প্রান্তিকে জাপানে দেশীয় চাহিদা ১ দশমিক ১ শতাংশ বাড়ে। এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ফলে জাপানের রফতানিও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সুমি ট্রাস্টের অর্থনীতিবিদ তাকায়ুজি তোজি বলেন, ক্যাবিনেট অফিসের প্রকাশিত উপাত্তে স্পষ্ট, ভোক্তা ও বাণিজ্যিক ব্যয় বৃদ্ধিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের দিকে এগোচ্ছে। রফতানি চাঙ্গা হওয়ায় দেশটির ম্যানুফ্যাকচারিং খাত বিশেষত গাড়ি শিল্প ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।