৭০ লাখ টন চাল রফতানির করবে থাইল্যান্ড
চলতি বছর ৭০ লাখ টন চাল রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে থাইল্যান্ড। গত বছরের তুলনায় রফতানি ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়বে। সম্প্রতি রফতানিসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক। বেশ কয়েক বছর ধরেই পণ্যটির রফতানি খাত বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগে মহামারী শুরুর বছর। বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান হারায় দেশটি। তবে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় রফতানি খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছর থাইল্যান্ডের মুদ্রার তুলনামূলক স্থিতিশীল দামের কারণে চাল রফতানিকারকরা লাভবান হবেন। এতে থাই চালের দাম বাজারে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এছাড়া অনুকূল আবহাওয়াও রফতানিতে সুবিধা দিচ্ছে। গত বছর দেশটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টন চাল রফতানি করে। ২০২০ সালে রফতানির পরিমাণ ছিল ৫৭ লাখ টন, যা দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এদিকে চাল রফতানি বাড়লেও চলতি বছর থাইল্যান্ডে ধান উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র জানায়, ২০২২ সালে থাইল্যান্ড ১ কোটি ৯৫ লাখ টন ধান উৎপাদন করবে।
গত বছরের তুলনায় উৎপাদন কমবে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত দুই বছরের তুলনায় চলতি বছর রফতানি পরিস্থিতি অনেক বেশি ভালো থাকবে। দুই বছর খরার কারণে থাইল্যান্ডে চাল উৎপাদন তলানিতে নেমে গিয়েছিল। এছাড়া মুদ্রার দামও ছিল ডলারের বিপরীতে অনেক বেশি। গত বছর জাহাজীকরণ কনটেইনারের ভয়াবহ সংকট দেখা দেয়। এছাড়া বিশ্বব্যাপী জাহাজের ভাড়াও বেড়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে। বিষয়গুলো ওই বছর চাল রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে এ বছরের চিত্র ভিন্ন হবে বলে মনে করছেন দেশটির চাল রফতানিকারক সংস্থা। এর মধ্য দিয়ে ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক হয়ে উঠতে চায় দেশটি।
তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে থাইল্যান্ড রেকর্ড সর্বোচ্চ চাল রফতানি করে। ওই সময় রফতানির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৭ লাখ টন। এরপর টানা তিন বছর কমেছে রফতানি। ২০২০ সালে দেশটি দুই দশকের সর্বনিম্ন চাল রফতানি করে। রফতানিতে নিম্নমুখিতার কারণে দেশটিকে অতিক্রম করে ভিয়েতনাম বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারকের তকমা দখল করে।