সাড়ে ৯ কোটি ইউরো লোকসানে রায়ানএয়ার
কভিডজনিত বিধিনিষেধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখোমুখি হয় এয়ারলাইনস শিল্প। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে মহামারীর শুরু থেকেই লোকসান গুনছে উড়োজাহাজ পরিবহন প্রতিষ্ঠানগুলো। গত বছরের মাঝামাঝিতে বিপর্যয় কাটিয়ে পুনরুদ্ধারের আশা দেখছিল উড়োজাহাজ পরিবহন খাত।
যদিও বছরের শেষ দিকে আবার সংক্রমণ বৃদ্ধি এ খাতে অনিশ্চয়তা তৈর করে। এ অবস্থায় গত বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার লোকসান গুনেছে রায়ানএয়ার। খবর রয়টার্স।
আইরিশ উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি বছরের মাঝামাঝিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটির মৌসুমে উড়োজাহাজ ভ্রমণের চাহিদা বাড়তে পারে। উচ্চ চাহিদা এ লোকসান মোকাবেলায় সহায়তা করবে বলে আশাবাদী সংস্থাটি।
এর আগে ২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে সংস্থাটি ৩০ কোটি ৬০ লাখ ইউরো লোকসান গুনেছিল। মহামারীর আগে ২০১৯ সালের এ সময়ে ৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার মুনাফা করেছিল রায়ানএয়ার।
আগামী ৩১ মার্চ শেষ হতে যাওয়া ব্যবসায়িক বছরেও লোকসানের পূর্বাভাস পুনরাবৃত্তি করেছে যাত্রী সংখ্যার দিক থেকে ইউরোপের বৃহত্তম এয়ারলাইনসটি। এ সময়ে সংস্থাটির লোকসানের পরিমাণ হবে ২৫-৪৫ কোটি ইউরোর মধ্যে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী মাইকেল ও’লিয়ারি বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে বুকিংয়ের সংখ্যা বাড়ছে। কারণ কভিডের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে তৈরি হওয়া উদ্বেগ ম্লান হতে শুরু করেছে। যদিও পূর্বাভাস অনিশ্চিত থেকে গেছে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল হওয়ায় সম্প্রতি উড়োজাহাজ ভ্রমণে বুকিংয়ের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রায়ানএয়ারের প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা ইজিজেট ও উইজএয়ার উভয়ই আগামী গ্রীষ্মের ছুটির মৌসুমে শক্তিশালী চাহিদা আশা করছে। যদিও সক্ষমতা বাড়ানোর চাপ মুনাফার আশাকে ম্লান করে দিতে পারে বলে জানিয়েছে ইউজ এয়ার।
চলমান ব্যবসায়িক বছরে পরিবহন করা যাত্রী সংখ্যা ১০ কোটির নিচে থাকবে বলে জানিয়েছে রায়ানএয়ার। যদিও এর আগে সংস্থাটি ১৬ কোটি ৫০ লাখ যাত্রী পরিবহনের পূর্বাভাস দিয়েছিল।