কাতার এয়ারওয়েজের বড় ক্রয়াদেশ পেয়েছে বোয়িং
মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংকে ৫০টি বড় কার্গো উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ দিয়েছে কাতার এয়ারওয়েজ। পাশাপাশি শিগগিরই আরো ৫০টি ৭৩৭ ম্যাক্স কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ক্রয়াদেশের মাধ্যমে ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাসের চেয়ে একধাপ এগিয়ে গেল বোয়িং। খবর এপি।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউজে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠান হয়েছে। সেখানে বোয়িং ও কাতার এয়ারওয়েজের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দুই দেশের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে ২৫টি ম্যাক্স টেন এস মডেলের উড়োজাহাজ সরবরাহ করবে বোয়িং। পরের ধাপে সরবরাহ করবে আরো ২৫টি।
তবে ঠিক কত অর্থের বিনিময়ে এ চুক্তি হয়েছে সেটি প্রকাশ করা হয়নি। স্বাভাবিক সময়ে এসব জেটের মূল্য ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। যদিও এয়ারলাইনসগুলো ক্রয়াদেশের ওপর কিছু ছাড় পেয়ে থাকে।
এর আগে এয়ারবাসকে বেশ বড় ক্রয়াদেশ দিয়েছিল কাতার এয়ারওয়েজ। কিন্তু উড়োজাহাজগুলোয় রঙ-সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে অভিযোগ করে কাতার এয়ারওয়েজ। ফলে সংস্থাটির দেয়া ক্রয়াদেশ বাতিল করে দেয় এয়ারবাস। এ ঘটনার দুই সপ্তাহ পরই ক্রয়াদেশটি বোয়িংয়ের কাছে চলে গেল।
এ ক্রয়াদেশের প্রশংসাও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কাতারের আমিরের সঙ্গে ওভাল অফিসের এক বৈঠকে তিনি এ প্রশংসা করেন। বাইডেন এটিকে বোয়িংয়ের পাওয়া সবচেয়ে বড় ক্রয়াদেশগুলোর একটি হিসেবে উল্লেখ করেন।
বোয়িং জানিয়েছে, কার্গো প্লেন সরবরাহের এটিই সবচেয়ে বড় ক্রয়াদেশ। মহামারীর কারণে কার্গো উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ আগের চেয়ে কমেছে। তবে একটা দীর্ঘ সময় মালবাহী জেটের বাজারে রাজত্ব করেছে বোয়িং। এমনকি ২০১৯ সালের দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার আগ পর্যন্ত যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিক্রিতেও সংস্থাটি এয়ারবাসকে পেছনে ফেলে দিয়েছিল।