পাকিস্তানের চাল উৎপাদন রেকর্ড
২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে পাকিস্তান রেকর্ড সর্বোচ্চ চাল উৎপাদন করেছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৯ লাখ টনে। আগের মৌসুমে দেশটি ৮৪ লাখ টন চাল উৎপাদন করেছিল। সম্প্রতি মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইউএসডিএ বলছে, নতুন জাতের উচ্চফলনশীল হাইব্রিড চাল, উন্নত কৃষিতত্ত্ব চর্চা ও আবাদ বৃদ্ধি উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের মাঝে তুলার পরিবর্তে চাল উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে। সংস্থাটি আরো জানায়, চাল উৎপাদকদের পর্যাপ্ত সহায়তা দিয়েছে দেশটির বিদ্যমান সরকারি নীতিমালা। এটিও উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এদিকে ২০২০-২১ মৌসুমে পাকিস্তানের চাল রফতানি অপরিবর্তিত ছিল। আগের মৌসুমে দেশটি ৩৮ লাখ টন চাল রফতানি করে। এ মৌসুমেও একই পরিমাণ চাল রফতানি করা হয়। সরবরাহ চেইনে সংকট, কনটেইনার ঘাটতি, ঊর্ধ্বমুখী পরিবহন ব্যয় চাল রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
রেকর্ড পরিমাণ চাল উৎপাদনের মানে হলো মজুদ স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। ফলে সরবরাহ ১ কোটি ১০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। এদিকে স্থানীয় চাল ব্যবহারের পরিমাণ ৩৭ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। ফলে রফতানিযোগ্য সরবরাহের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৭৩ লাখ টনে। চলতি বছর পাকিস্তানে চালের উদ্বৃত্ত বড় আকার ধারণ করতে পারে। ফলে রফতানি লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়তে পারে। তবে চাল রফতানিতে দেশটির সঙ্গে ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সরবরাহকারী দেশগুলোর প্রতিযোগিতা আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।