লাথাম ভোগাচ্ছেন বাংলাদেশকে
কপাল বোধ হয় একেই বলে! এক ওভারে দুই-দুইবার বেঁচে গেলেন টম লাথাম। যখন তার রান ছিল মাত্র ১৬। সেই লাথামই তুলে নিলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। তাতে নিউজিল্যান্ডও দাঁড়িয়ে গেল শক্ত অবস্থানে।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিনে ১ উইকেটে ২০২ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেছে কিউইরা। বাংলাদেশি বোলারদের হতাশার এক দিন কাটছে বলা যায়।
অথচ হ্যাগলি ওভালের সবুজ উইকেটে টস জিতে বড় আশা নিয়ে বোলিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। দুই পেসার তাসকিন আহমেদ আর শরিফুল ইসলাম শুরুটাও করেছিলেন দারুণ। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম ৮ ওভারে মাত্র ২২ রান তুলতে পারে কিউইরা।
নবম ওভারে গত ম্যাচের নায়ক এবাদত হোসেনকে আক্রমণে নিয়ে আসেন মুমিনুল। প্রথম ওভারেই ভয় ছড়িয়েছিলেন ডানহাতি এই পেসার, উইকেটও পেতে পারতেন।
এবাদতের দ্বিতীয় বলটি লাথামের থাই প্যাডে আঘাত করলে জোরালো আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার আঙুলও তুলে দেন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লাথাম। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যেত।
একই ওভারের পঞ্চম বলে আবার এলবিডব্লিউয়ের আবেদন। এবারও এবাদতের আবেদনে আঙুল তোলেন আম্পায়ার এবং এবারও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লাথাম। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্টাম্পের উপর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল।
দুইবার বেঁচে যাওয়া লাথাম সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন পুরোপুরি। উইকেটে সেট হয়ে দেখিয়েছেন রুদ্ররূপ। উইল ইয়ংকে নিয়ে প্রথম সেশন অনায়াসে কাটিয়ে দেন কিউই দলপতি। ২৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৯২ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় নিউজিল্যান্ড।
বিরতির পরপরই আরেকটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন এবাদত। এবার ইয়ংয়ের ক্যাচ দ্বিতীয় স্লিপে ফেলে দেন লিটন দাস। ওই বলে দৌড়ে তিন নেওয়ার পর ওভার থ্রোতে আরও চার রান পেয়ে যায় স্বাগতিকরা।
কিউইরা চালিয়ে খেলতে থাকে। চারের কাছাকাছি ওভারপ্রতি রান নিয়ে এগোচ্ছিলেন লাথাম-ইয়ং। শেষপর্যন্ত তাদের ১৪৮ রানের উদ্বোধনী জুটিটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।
শরীরের বাইরের বল মারতে গিয়ে পয়েন্টে নাইম ইসলামের ক্যাচ হন ইয়ং। ৫৪ রানে থামে কিউই ওপেনারের ইনিংস। তবে নিজের হোম গ্রাউন্ডে সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি দুই-দুইবার রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া লাথাম।
১ উইকেটে ২০১ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেছে কিউইরা। ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে ১৬৬ রানে অপরাজিত আছেন লাথাম। সঙ্গে ৬৩ রানে ব্যাটিংয়ে ডেভন কনওয়ে।