পাম অয়েল উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা
আগামী বছর ইন্দোনেশিয়ায় অপরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদন ২ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৫ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার টনে। চলতি বছর প্রাক্কলিত উৎপাদনের পরিমাণ ৪ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার টন। পাম অয়েল রফতানিকারকদের থেকে শুল্ক সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান এস্টেট ক্রপ ফান্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক ও রফতানিকারক। প্রাক্কলিত তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছর দেশটির অপরিশোধিত পাম অয়েল রফতানি চাহিদা বেড়ে ২ কোটি ৭৯ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। চলতি বছর প্রত্যাশিত চাহিদার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টন। এদিকে ২০২২ সালে স্থানীয় বাজারেও অপরিশোধিত পাম অয়েলের চাহিদা বাড়বে। চাহিদার পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি ১৪ লাখ টনে। চলতি বছর প্রাক্কলিত স্থানীয় চাহিদা ছিল ১ কোটি ১১ লাখ টন।
এস্টেট ক্রপ ফান্ডের প্রধান এডি আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের প্রত্যাশা, আগামী বছর পাম অয়েল উৎপাদনে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার ঘটবে। গত ও চলতি বছর এল নিনো ও লা নিনার প্রভাবে পণ্যটির উৎপাদন ব্যাপক হারে ব্যাহত হয়েছে।
এস্টেট ক্রপ ফান্ড ভোজ্যতেলের দামের ওপর তিনটি পূর্বাভাস দিয়েছে। প্রতি টন ভোজ্যতেলের দাম ৭৪৭ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছে সরকারি সংস্থাটি।