নিতাইগঞ্জে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডাল
দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ডাল। ১৫ দিনের ব্যবধানে পণ্যটির কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৪-১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে ভারতের দিল্লি সুপার ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১৮ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগেও বেচাকেনা হয়েছে ১০৮-১০৯ টাকা দরে। সে হিসাবে দিল্লি সুপার ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। দেশী মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১০২ টাকা কেজি দরে। ১০ দিন আগেও একই ডাল বাজারে বিক্রি হয়েছে ৯৬-৯৭ টাকায়। সে হিসাবে দেশী মসুর ডালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৬ টাকা। বোল্ডার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮৭ টাকা কেজি দরে। একই ডাল ১০-১২ দিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ৭৮-৮০ টাকা দরে। সে হিসাবে বোল্ডার ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৮ টাকা। বোল্ডার আস্তা ডাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। একই ডাল এক সপ্তাহ আগেও বেচকেনা হয়েছে ৬৫-৬৬ টাকা দরে। সে হিসাবে বোল্ডার আস্তা ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা।
এদিকে খেসারি ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও একই ডাল বাজারে বেচাকেনা হয়েছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। সে হিসাবে খেসারি ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা। বুটের ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৬৭ টাকা কেজি দরে। একই ডাল ৮-১০ দিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ৬০-৬২ টাকা দরে। সে হিসাবে বুটের ডালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৮ টাকা।
বাসন্তি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব সাহা জানান, প্রতি বছর শীত মৌসুম এলে বাজারে সবজির দাম অনেক কমে যায়। কিন্তু এ বছর শীতে সবজির দাম অনেক বেশি। বাজারে ডালের চাহিদা বেশি রয়েছে। ফলে চড়া দামে পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই দাম আছে বলে দাবি করেছেন এ ব্যবসায়ী।
শ্রীগুরু ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী জানান, বাজারে ডালের চাহিদা বাড়তির দিকে থাকায় সব ধরনের ডালের দামই বেড়েছে। প্রতি বছর এ সময় ডালের দাম স্থিতিশীল থাকে। কিন্তু শীতকালীন সবজির দাম বেশি থাকায় প্রভাব পড়েছে ডালের বাজারেও। তিনি আরো বলেন, দেশী মসুর ডাল আবাদের মৌসুম শুরু হয়েছে। এখনো ডাল বাজারে ওঠেনি। ফলে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।