প্রত্যাশার চেয়েও বেশি আয় নাইকির
নভেম্বরে শেষ হওয়া তিন মাসে আয় ও মুনাফার ক্ষেত্রে প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে নাইকি। উত্তর আমেরিকায় জোরালো চাহিদা ক্রীড়া পণ্য জায়ান্টের আয় বাড়াতে সহায়তা করেছে। আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বজুড়ে চলমান সরবরাহ চেইনের প্রতিবন্ধকতা শিথিল হবে বলে আশা নাইকির।
রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয় বাড়ার খবরের পর নাইকির শেয়ারদর ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। সেপ্টেম্বর-নভেম্বর সময়ে সংস্থাটির বৃহত্তম বাজার উত্তর আমেরিকায় বিক্রি বেড়েছে ১২ শতাংশ। এ সময়ে কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে মার্কিন অর্থনীতি পুনরায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং টিকাদান কার্যক্রম লোকদের দোকানে ফিরতে উৎসাহিত করেছে।
জেন হ্যালি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের খুচরা বিক্রি বিশ্লেষক জেসিকা রামিরেজ বলেন, এ সময়ে নাইকি যতটা সম্ভব নতুন নতুন পণ্য এনেছে। দীর্ঘমেয়াদেও আমি প্রতিষ্ঠানটির বিক্রির গতি বাড়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। কারণ সংস্থাটির পণ্যগুলো ভোক্তাদের কাছে অত্যন্ত লোভনীয়।
ক্রীড়া পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কভিডজনিত কারণে ভিয়েতনামে কয়েক মাস ধরে কারখানা বন্ধ থাকায় ছুটির মৌসুমে সরবরাহের সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছিল। সংস্থাটির অর্ধেক জুতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে তৈরি হয়। তারপরও উত্তর আমেরিকায় ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে রেকর্ড পরিমাণ পণ্য বিক্রি করেছে নাইকি।
উত্তর আমেরিকায় আয় বাড়লেও সংস্থাটির আরেকটি বড় বাজার চীনে ২০ শতাংশ আয় কমেছে। এক্ষেত্রে সংস্থাটি চলমান সরবরাহ চেইনের জটিলতা এবং নতুন করে সংক্রমণের কারণে আরোপ করা বিধিনিষেধকে দায়ী করেছে।
নাইকি জানিয়েছে, ভিয়েতনামে সম্পূর্ণ খোলা কারখানাগুলোয় এখন সাপ্তাহিক জুতা ও পোশাক উৎপাদন কভিডজনিত বন্ধের আগের পর্যায়ের প্রায় ৮০ শতাংশে পৌঁছেছে। সংস্থাটির প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাট ফ্রেন্ড বলেন, বন্ধের কারণে নাইকি প্রায় ১৩ কোটি ইউনিট পণ্যের উৎপাদন বাতিল করেছে।
৩০ নভেম্বর শেষ হওয়া তিন মাসে প্রাতিষ্ঠানটির সামগ্রিক আয় ১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৩৬ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এ আয়ের পরিমাণ ১ হাজার ১২৫ কোটি ডলারের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে। ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি সময়ে সংস্থাটি একক অংকের আয় প্রবৃদ্ধির আশা করে। সেপ্টেম্বর-নভেম্বর সময়ে নাইকির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ৮৩ সেন্টে পৌঁছেছে। যেখানে শেয়ারপ্রতি ৬৩ সেন্ট মুনাফার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।