রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে জাপানে পারিবারিক সম্পদ
জাপানি পরিবারগুলোর কাছে থাকা সম্পদ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। সেপ্টেম্বর শেষে এ সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ট্রিলিয়ন ইয়েনের (১৮ ট্রিলিয়ন ডলার) মাইলফলক স্পর্শের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। কভিড-১৯ মহামারীর অনিশ্চয়তায় জাপানিদের ব্যয় করা থেকে বিরত থাকা এবং পুঁজিবাজারে শেয়ারদরে উল্লম্ফন এ সম্পদকে বাড়িয়ে তুলেছে। গতকাল ব্যাংক অব জাপান এ তথ্য জানিয়েছে।
কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ১ হাজার ৯৯৯ ট্রিলিয়ন ৮০ হাজার কোটি ইয়েনের এ পারিবারিক সম্পদ ২০০৫ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ সম্পদ ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। জাপানের নগদ অর্থ ও আমানত ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৭২ ট্রিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। এটি সামগ্রিক অর্থের ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশের সমান। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে জাপানিদের বাড়িতে থাকার নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। ফলে ঘরবন্দি থাকার এ সময়ে ভোক্তাদের হাতে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ জমেছে। পরিবর্তে তারা খুব কমই ব্যয় করতে পেরেছে। টোকিও ও ওসাকাসহ জাপানের অনেক অঞ্চল সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত কভিডজনিত জরুরি অবস্থার অধীনে ছিল। এ ব্যবস্থায় মানুষকে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে এবং রেস্তোরাঁ ও বারগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বন্ধ করার বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়েছিল।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিতের পর শেয়ারদর বেড়ে ইকুইটিতে থাকা সম্পদ ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ২১৮ ট্রিলিয়ন ইয়েনে পৌঁছেছে। পাশাপাশি অ-আর্থিক সংস্থাগুলোর কাছে থাকা নগদ ও আমানতের পরিমাণ ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৩২১ ট্রিলিয়ন ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। এটি মোট সম্পদের ২৫ দশমিক ৬ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
অ-আর্থিক সংস্থাগুলোকে দেয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ দশমিক ১ শতাংশ কমে ৩৫১ ট্রিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে রাষ্ট্রের বকেয়া ঋণের ৪৪ দশমিক ১ শতাংশে মালিকানা রয়েছে।