ফুলেফেঁপে উঠছে আর্জেন্টিনার অর্থনীতি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রাকৃতিক সম্পদের সহজলভ্যতা, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী, রপ্তানিমুখী কৃষিখাত এবং বৈচিত্র্যময় শিল্পের সমাহার আর্জেন্টিনার অর্থনীতির মূল উপাদান। কিন্তু দেশটিতে অর্থনৈতিক ভারসাম্য অনেকটাই অসম। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আর্জেন্টিনা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু বর্তমানে এটি একটি উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। তবে এখন দেশটিকে একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। করোনাকালেও ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে আর্জেন্টিনার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) দেশটির পরিসংখ্যান এজেন্সি জানিয়েছে যে, গত বছর আর্জেন্টিনার বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক দুই শতাংশ। এবার তা দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক নয় শতাংশে।

দক্ষিণ আমেরিকার শস্য-উৎপাদনকারী দেশটি করোনা মহামারি থেকে একটি বড় ধাক্কা খাওয়ার পরে তার অর্থনীতি প্রাথমিক প্রত্যাশার চেয়ে আরও দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে। দেশটির সরকার ২০২১ সালে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসকে ১০ শতাংশ উন্নীত করেছে।

রয়টার্সের জরিপে অংশ নেওয়া ১৭ জন স্থানীয় ও বিদেশি বিশ্লেষকের ধারণা ছিল, দেশটিতে ১২ শতাংশ অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ ঘটছে, বছরের তৃতীয় ভাগে জুলাই-সেপ্টেম্বরে।

একটি কনসালটেন্সি ফার্ম ইকনভিউজসের পরামর্শদাতা ও অর্থনীতিবিদ আইসায়াস মারিনি আগেই আভাস দিয়েছিলেন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১২ শতাংশ বাড়ার। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে হিসাবে দেখা গেছে, বেতন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেটি শেষ প্রান্তে স্থায়ী রুপ নিতে পারে।

মারিনি বলেন, বেতন কাঠামো বাড়ানো, সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞার শিথিলকরণ এবং ক্রেডিট পুনরায় সক্রিয়করণ সুপারিশের কারণে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের ওপরে থাকছে এ বছর।

তবে তিনি ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে বলেন, কিন্তু স্বল্পমেয়াদী ঝুঁকি হলো প্রবৃদ্ধির অর্থায়নের জন্য রিজার্ভের অভাব এবং এর ফলে বিনিময় হারের অস্থিরতা।

পাবলো বেসমেড্রিসনিক, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনভেনোমিকার একজন অর্থনীতিবিদ বলেন দেশটির আজকের অর্থনীতির অন্যতম বড় চালক হচ্ছে তেল ও জ্বালানিখাত। কৃষি খাতও ভালো ফল দেখাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্বল্প ও মধ্যমেয়াদে আর্জেন্টিনার প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়ার চাবিকাঠি হলো এই দুটি খাত।

২০২১ সালে দ্বিতীয় প্রান্তে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার দেশজ মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক নয় শতাংশে।

সূত্র: আল-জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *