সর্বনিম্নে ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য
চলতি সপ্তাহে ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য আবারো কমেছে। ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রার বিনিময় মূল্য কমে যাওয়ায় রফতানিকারকরা কম দামেই চাল বিক্রি করছেন। এছাড়া স্থানীয় সরবরাহ বৃদ্ধি ও নতুন ধান সংগ্রহও বাজারে প্রভাব ফেলেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
তথ্য বলছে, চলতি সপ্তাহে ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য কমে পাঁচ বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে। শীর্ষ রফতানিকারক দেশটির ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চালের দাম স্থির হয়েছে টনপ্রতি ৩৫১-৩৫৬ ডলারে। আগের সপ্তাহে প্রতি টন রফতানি করা হয়েছে ৩৫৩-৩৫৮ ডলারে। গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় রুপির বিনিময় মূল্য দুই মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাডা শহরের একটি চাল রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান জানায়, বিশ্ববাজারে আবারো ভারতীয় চাল আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের বাজারে আরো এক ধাপ বেড়েছে চালের দাম। ভালো উৎপাদন ও আমদানি সত্ত্বেও বাজারে স্থিতি ফিরছে না। সংশ্লিষ্টরা মধ্যস্বত্বভোগীদের কৃত্রিম মজুদের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন।
বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ চাল উৎপাদক। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমদানিনির্ভরতা বেড়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশির ভাগ চালই ক্রয় করে ভারতের কাছে।
এদিকে ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম কমে টনপ্রতি ৪১০-৪১৪ ডলারে স্থির হয়েছে। গত সপ্তাহে দাম ছিল ৪১৫-৪২০ ডলার। হো চি মিনভিত্তিক ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে কন্টেইনার সংকট চালের বাজারে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ওপর আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে জাহাজীকরণ ব্যয়। এসব কারণে বাজারে মন্দা চলছে। গতি হারিয়েছে চাল রফতানি।
এদিকে থাইল্যান্ডের চালের রফতানি মূল্য বেড়েছে। গত সপ্তাহে যে চাল ৩৮০-৩৯৭ ডলারে রফতানি করা হয়েছিল, চলতি সপ্তাহে তা বেড়ে ৩৮৫-৩৯৬ ডলারে উন্নীত হয়েছে।