এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান
দেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করার পাশাপাশি উচ্চ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকল্পে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরেই কৃষি নির্ভর। কৃষিখাতের আধুনিকায়নের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখীকরণ নিশ্চিত করতে পারলেই আমাদের অর্থনীতির বিকাশ আরও বেগবান হবে।
শনিবার রাজধানীতে ‘ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার’উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নিজস্ব স্থানে এ শাখা অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের সব ব্যবসায়ী সমাজকে একযোগে, দলমত নির্বিশেষে কাজ করতে হবে। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন স্থাপিত ‘ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার’ ঢাকা চেম্বারের সদস্যদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমাজেকে সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, লজিস্টিক খাতে আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি। তবে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে আমাদেরকে এখাতের উপর অরও মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নিরসন এবং সমুদ্রবন্দর গুলোতে সেবার মান উন্নয়ন ও দ্রুততর করা হলে ব্যবসায় ব্যয় হ্রাস পাব। এটি আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করবে। এফবিসিসিআই সভাপতি এসময় দেশের সব চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশন গুলোর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার’ চেম্বারের সদস্যদের সেবা প্রদানের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক তথ্য প্রাপ্তির উৎসস্থল হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে দেশের সব ব্যবসায়ী সম্প্রদায় একযোগে কাজ করছে। সামনের দিনগুলোতে তাদের এ বন্ধন আরও জোরালো হবে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের এসএমই খাত অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এলডিসি পরর্বতী চ্যালেঞ্জ ও অর্থনীতিকে বেগবান করতে আমাদেরকে এখাতের উপর আরও জোরারোপ করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।