হয়রানি বন্ধের দাবি রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির

স্টাফ রিপোর্টার

রেস্তোরাঁ খাতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং এ খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের হয়রানী বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ৩৩তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের (বর্ধিত) সভায় এ দাবি করেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা। আর হয়রানি বন্ধে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুর দাবি জানান তারা।
সভায় সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, বর্তমানে রেস্তোরাঁ খাত পরিচালনা করার জন্য কমবেশী ১১টি সংস্থার অধীনে কাজ করতে হয়। এই ১১টি সংস্থায় প্রতিবছর নতুন করে লাইসেন্স বা নবায়নে ছোট ছোট উদ্যোক্তারা অনেক হয়রানীর শিকার হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ’ হন। আমরা মনে করি এতোগুলো প্রতিষ্ঠানের কাছে না গিয়ে ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের ন্যায় একটি মন্ত্রণালয়/সংস্থা/ অধিদপ্তর থেকে সব অনুমতি প্রদান করা হোক। অবিলম্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে একটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়ে আসতে হবে। নবায়নের ক্ষেত্রে সকল ছাড়পত্র প্রতি বছরের পরিবর্তে তিন বছর মেয়াদী করা হোক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিল্প খাতের মধ্যে অন্যতম রেস্তোরাঁ খাত। এ খাতে প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। সরকারি হিসেবে দেশে ৪ লক্ষ্যের বেশী রেস্তোরাঁ পরিচালিত হয়ে আসছে যেখানে ৩০ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছে। কৃষি, পর্যটন, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সব ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে এই খাত। কিন্তু সরকারিভাবে রেস্তোরাঁ খাতকে শিল্পের মর্যাদা না দেওয়ায় চরম অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে।
সভায় রেস্তোরাঁ মালিকরা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে সারা দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করছেন আমলারা। সরকারি সাতটি সংস্থা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা দরকার বলে তারা অভিমত দেন।
আলোচনায় সমিতির নেতারা বলেন, সারা বাংলাদেশে স্ট্রিট ফুড থেকে শুরু করে যেকোন রেস্তোরাঁ ভ্যাটের নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হবে যাতে কোনো ব্যবসায়ীক বৈষম্য থাকবে না। এতে ব্যবসায় অসম প্রতিযোগিতা হবে না।
সভায় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি, ১ম যুগ্ম-মহাসচিব মো. ফিরোজ আলম সুমন, ট্রেজারার তৌফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব, প্রধান উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমিনসহ কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *