জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা

জেফ বেজোসের ৪৪ কোটি ডলার অনুদানের ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার

সম্প্রতি ৪৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। মূলত জলবায়ু ন্যায়বিচার ও প্রকৃতি সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ অনুদান যাবে। চলতি বছর জুলাইয়ে জেফ বেজোসের মহাকাশ যাত্রা থেকে ফিরে আসার কয়েক মাসের মধ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানাল বেজোস আর্থ ফান্ড। খবর বিজনেস ইনসাইডার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট ৪৪টি প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দেয়ার পরিকল্পনা সংগঠনটির। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাস্টিস৪০ উদ্যোগও এর আওতাভুক্ত। সুবিধাবঞ্চিত দেশগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করা জাস্টিস৪০-এর জন্য ১৪ কোটি ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে অনুদানের অর্থ থেকে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও আফ্রিকায় ভূমি পুনরুদ্ধারে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার অনুদান বরাদ্দ করেছে বেজোস আর্থ ফান্ড।

জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে আর্থ ফান্ডকে ১ হাজার কোটি ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জেফ বেজোস। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ অনুদান তারই অংশ। পূর্ব ঘোষণামতে, ২০৩০ সালের মাঝে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থের অনুদান দেয়া হবে আর্থ ফান্ডকে।

গত বছর বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের জেফ বেজোস জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে ১৬টি জলবায়ু প্রতিষ্ঠানকে ৭৯ কোটি ১০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছিলেন।

এ বছর ২০ জুলাই নিজস্ব অ্যারোস্পেস প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি রকেটে ৩ মিনিট মহাশূন্যে ভ্রমণ করেন বেজোস। অদূরভবিষ্যতে এটিই ভ্রমণের মাধ্যম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। বেজোস বলেন, বহু শতক পর মানুষের জন্ম হবে মহাকাশে। এরপর তারা পৃথিবীতে আসবে যেমন এখন কেউ ইয়েলো স্টোন ন্যাশনাল পার্কে বেড়াতে যায়।

মহাকাশ যাত্রা থেকে ফেরত এসে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা পৃথিবী সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। এর সঙ্গে পরিবেশ দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মহাশূন্যে স্থানান্তরের ওপর জোর দেন তিনি।

পৃথিবীর নানা সমস্যা থেকে মহাকাশে মনোযোগ দেয়া নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সমালোচিত হয়েছেন জেফ বেজোস। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন করের ন্যায্য ভাগ না দিয়ে বেজোসের মহাকাশ ভ্রমণের সমালোচনা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এলিজাবেথ বলেছেন, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবের মহাকাশ যাত্রা করেন যখন দেশের অর্ধেক মানুষ তাদের বেতন দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এছাড়া প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী ঋণগ্রস্ত।

সমালোচনার জবাবে সংবাদ সম্মেলনে জেফ বলেছেন, নিন্দুকরা ভুলে যান যে দুটি বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ এবং পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *