পাম অয়েলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য বেড়েছে

মালয়েশিয়ার বাজারে পাম অয়েলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য বেড়েছে। নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের শঙ্কায় আগের দিন ভোজ্যতেলটির বাজার আট সপ্তাহের সর্বনিম্নে আসে। কিন্তু শঙ্কা কাটিয়ে গতকাল আবার ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। এদিন টনপ্রতি পণ্যটির দাম বেড়েছে দশমিক ৪৯ শতাংশ। খবর রয়টার্স।

ওমিক্রনের শঙ্কায় কয়েক দিনে পণ্যবাজারে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়। এতে আগের দিন পাম অয়েলের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায়। কিন্তু গতকাল বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে ফেব্রুয়ারিতে পাম অয়েল সরবরাহ চুক্তিমূল্য দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ২৩ রিঙ্গিত বেড়েছে। এ সময় পণ্যটির বিক্রি দাঁড়ায় টনপ্রতি ৪ হাজার ৬৯৫ রিঙ্গিত বা ১ হাজার ১১৭ ডলার ৫৯ সেন্ট।

মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি মালয়েশিয়া থেকে গত নভেম্বরে পাম অয়েলজাত পণ্যের রফতানিও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। কার্গো সার্ভেয়ার প্রতিষ্ঠান সোসিয়েদে জেনারেলে ডি সার্ভিলেন্সের তথ্যানুযায়ী, নভেম্বরে পাম অয়েলজাত পণ্যের রফতানি অক্টোবরের তুলনায় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ মাসে রফতানি হয়েছে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৫৯ টন।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে ভোজ্যতেলের চাহিদায় যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, সেটি কাটিয়ে উঠতে শীর্ষ উৎপাদনকারীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্রির পাশাপাশি দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। অপরিশোধিত তেলের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের কারণে বায়োডিজেল ফিডস্টকের জন্য পাম অয়েল আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

মালয়েশিয়ার অন্যতম কৃষি ব্যবসা, খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও পাম অয়েল জায়ান্ট এফজিভি হোল্ডিংস জানায়, ২০২২ সালের মার্চের শেষ নাগাদ কর্মীরা মালয়েশিয়ায় ফিরতে শুরু করবেন। ফলে কর্মী সংকটের অবসান ঘটবে। এর পাশাপাশি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন যদি কোনো বাধার সৃষ্টি না করে, তাহলে বিশ্বে পাম অয়েল বাজারের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

মালয়েশিয়ার পাম অয়েল বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, অক্টোবরে দেশটিতে পাম অয়েলের রফতানি ১২ শতাংশ কমে ১৪ লাখ ১৮ হাজার টনে নেমে এসেছিল। তবে এটি বাজার বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসকৃত ১৩ শতাংশের চেয়ে কম। অন্যদিকে সয়াবিন তেল উৎপাদনে ডালিয়ানের সবচেয়ে কার্যকর চুক্তি ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। যেখানে পাম অয়েলের চুক্তি ১ শতাংশ বেড়েছে। শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে সয়াবিন তেলের দাম ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। উদ্ভিজ্জ তেলের বাজারে মূল্যসংক্রান্ত আন্দোলনের কারণে পাম অয়েলের দামেও প্রভাব পড়েছে। কেননা উদ্ভিজ্জ তেলের বাজারে একটি অংশ দখলে অন্যদের সঙ্গে পাম অয়েলের তুমুল প্রতিযোগিতা চলমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *