ভিয়েতনামের কফি রফতানি নিম্নমুখী
চলতি বছরের ১১ মাসে ভিয়েতনামের কফি রফতানি কমেছে। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের প্রাদুর্ভাবে পানীয় পণ্যটির রফতানি ব্যাহত হয়। রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে লকডাউন, উচ্চ পরিবহন ব্যয় ও শ্রমিক সংকটসহ নানা প্রতিবন্ধকতা।
ভিয়েতনামের পরিসংখ্যান বিভাগ এক প্রতিবেদনে জানায়, জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে ভিয়েতনামের কফি রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রফতানি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টনে নামতে পারে বলে মনে করছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা। এ সময় চাল রফতানি দশমিক ৮ শতাংশ বাড়তে পারে।
বিভাগটি বলছে, রোবাস্তা কফি উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশ ভিয়েতনাম। জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত দেশটি ২ কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) কফি রফতানি করতে সক্ষম হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে কফির দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় রফতানি কমলেও আয় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বছরের ১১ মাসে দেশটির কফি রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ২৬০ কোটি ডলারে পৌঁছতে পারে। নভেম্বরে দেশটি ১৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের ৭৮ হাজার টন কফি রফতানির সম্ভাবনা দেখছে।
এদিকে জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত ভিয়েতনামের চাল রফতানি দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস মিলেছে। রফতানি পৌঁছতে পারে ৫৭ লাখ টনে। দেশটির চাল রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৩০৪ কোটি ডলারে উন্নীত হতে পারে।