উড়োজাহাজের সংখ্যা দ্বিগুণ করছে ফ্লায়েডিল
আগামী বছর বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে যাচ্ছে সৌদি আরবের সাশ্রয়ী উড়োজাহাজ পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ফ্লায়েডিল। এ লক্ষ্যে স্থানীয় প্রতিভাবান নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরব নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আহমেদ আলব্রাহিম এ কথা জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে সাশ্রয়ী উড়োজাহাজ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানটির বহরে ১৫টি এ৩২০ উড়োজাহাজ রয়েছে। শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি এ৩২০ নিও ক্যাটাগরির আরো উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত করবে।
২০২২ সালের শেষ নাগাদ প্রতিষ্ঠানটির উড়োজাহাজ বহর ৩০ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আহমেদ আলব্রাহিম। তিনি বলেন, উড়োজাহাজ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানটি আগামী বছর এ অঞ্চলের দ্রুত বর্ধনশীল কোম্পানিতে পরিণত হতে চায়। প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরতদের ৫০ শতাংশই নারী। কেবিন ক্রু হিসেবে যারা কর্মরত রয়েছেন, তাদের গণনায় অন্তর্ভুক্ত করলে এ অনুপাত বেড়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
আলব্রাহিম বলেন, দেশের প্রতিভাবান নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ বছর আমরা ১৩০-এর কাছাকাছি নারী কর্মী নিয়োগ দিয়েছি।
উড়োজাহাজ পরিষেবা খাতে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয় উল্লেখ করে আহমেদ বলেন, আমাদের প্রথম চিফ পিপল অফিসার, প্রথম এয়ারপোর্ট ডিউটি ম্যানেজার ও প্রথম পাইলটও নারী। গত সপ্তাহে জেদ্দা থেকে দুবাই পর্যন্ত সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন ফ্লাইটটি ফ্লাইএডিলের প্রথম আন্তর্জাতিক যাত্রার সংকেত দিল।
সাউদিয়ার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ফ্লাইএডিল সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাঁচটি রুটে ও রিয়াদ থেকে চারটি রুটে উড়োজাহাজ সেবা দিয়ে থাকে।
কভিড-১৯ সংক্রমণের সময় প্রতিষ্ঠানটি গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, করোনা-পরবর্তী সময়ে কিছুটা উন্নতি হলেও ২০২০-২২ সাল পর্যন্ত উড়োজাহাজ পরিবহন খাতে লোকসানের পরিমাণ ২০ হাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ২০২১ সালে ৫১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার লোকসানের পর ২০২২ সালে এ খাতে ১ হাজার ১৬০ কোটি লোকসানের পূর্বাভাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উড়োজাহাজ পরিবহন খাতের জন্য গত দুই বছর খুবই নেতিবাচক ছিল—বিষয়টি স্বীকার করে আলব্রাহিম বলেন, করোনার সময় ২০০৮ সাল আর্থিক সংকটের মতো ছিল। সে সময় মানুষ তাদের খরচ করার সক্ষমতা হারিয়েছিল। সে সময় সমগ্র বিশ্বের পাশাপাশি উড়োজাহাজ খাত কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল।
তিনি আরো বলেন, কভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে সামাজিক দূরত্ব বিধান মানুষের আচার-আচরণে পরিবর্তন এনে দিয়েছে। তাই সবকিছু স্বাভাবিকভাবে পরিচালনায় উড়োজাহাজ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।