চীন ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ লাগতে পারে যে কারণে

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ শেষ পর্যন্ত সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। বিশ্বে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়ে মুখোমুখী হতে পারে বর্তমান বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র ও উদীয়মান সুপার পাওয়ার চিন। দেশ দুটির মধ্যে শুরু হতে পারে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। আর সেটি হতে পারে আগামি ১৫ বছরের মধ্যেই। খবর আলজাজিরার

চীন-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ সম্পর্কে আশংকা প্রকাশ করেছেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর সাবেক এক উর্ধতন কর্মকর্তা। তিনি রাশিয়ার সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ‘অস্বাভাবিক’ ধারা নিয়েও শংকা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ওই সেনা কর্মকর্তা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মার্কিন ওই কর্মকর্তার পূর্বাভাস কতটা বাস্তবসম্মত ও গবেষণালব্ধ তা নিয়ে অবশ্য কিছুটা সন্দেহ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। সত্যিকার আশংকা থেকে তিনি এ সতর্কতার কথা জানিয়েছেন, না-কি ক্রমেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরে সরে যেতে থাকা ইউরোপকে মনস্ত্বাত্ত্বিক চাপে ফেলে ফের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্দেশ্য থেকে এ কথা বলেছেন তা স্পষ্ট নয়।

খবর অনুসারে, ইউরোপে মোতায়েন মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল বেন হজেস আগামী ১৫ বছরের মধ্যে চিনের সঙ্গে আমেরিকার যুদ্ধ বাধার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার তিনি বলেন, ইউরোপের দেশগুলোর উচিত রাশিয়ার মোকাবেলায় তাদের যুদ্ধ সক্ষমতা আরও বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করা।

কারণ চিনের বিরুদ্ধে নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমেরিকাকে নজর দিতে হবে। ইউরোপের পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় একইসঙ্গে চিনের হুমকি মোকাবেলা করার ক্ষমতা আমেরিকার নেই বলেই মন্তব্য তাঁর।

বেন হজেস ২০১৪ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত ইউরোপে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। বর্তমানে তিনি ওয়াশিংটনের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান পলিসি অ্যানালাইসিস-এ স্ট্র্যাটেজিক এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করছেন। ভূরাজনৈতিক অগ্রাধিকারে পরিবর্তন এলেও ন্যাটো জোটের প্রতি মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতি আগের মতোই রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এছাড়া, ইউরোপের নিরাপত্তাকে আমেরিকা তার মৌলিক স্বার্থ বলে বিবেচনা করে। ফলে ইউরোপে মার্কিন সামরিক বিনিয়োগ ও প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকবে বলে জনান বেন হজেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *